বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১ |   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জোবায়দাকে নিয়ে ভেস্তে গেল বিএনপির পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২২ ১৪ ০২ ০২  

জোবায়দাকে-নিয়ে-ভেস্তে-গেল-বিএনপির-পরিকল্পনা

জোবায়দাকে-নিয়ে-ভেস্তে-গেল-বিএনপির-পরিকল্পনা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলকে চাঙা করতে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে রাজনীতির মাঠে নামানো পরিকল্পনা করেছিল বিএনপির হাইকমান্ড। কিন্তু দেশের উচ্চ আদালত থেকে জোবায়দার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলার রায়ে ভেস্তে গেছে দলটির সব পরিকল্পনা।

সম্প্রতি বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি ফাঁস করেছে।

দলীয় সূত্রমতে, শাশুড়ি খালেদা জিয়া ও স্বামী তারেক রহমান দুর্নীর্তিসহ নানা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় বিএনপির নেতৃত্বভার জোবায়দার ওপর দিতে পরিকল্পনা করে দলটির হাইকমান্ড। তাদের পরিকল্পনা ছিল যে, নির্বাচনের আগে জোবায়দাকে ঢাকায় আনা হবে এবং বিএনপিকে চাঙা করা হবে। জোবায়দার নেতৃত্বে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি নাটকীয় কিছু করে ফেলবে। সে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তার মামলাগুলো খারিজ করার উদ্যোগ নেয় বিএনপি। কিন্তু বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন যে, জোবায়দার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলবে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপিতে তারেকের চেয়ে জোবায়দার অনেক জনপ্রিয়। বিভিন্ন দিক থেকে জোবায়দা তারেক রহমানের চেয়ে যোগ্যতাসম্পন্ন। বিশেষ করে শিক্ষা-দীক্ষার দিক থেকে জোবায়দা অনেক এগিয়ে। বিভিন্ন সময়ে বিএনপির নেতারা তার সঙ্গে কথা বলে মুগ্ধ হয়েছেন। কিন্তু শুধুমাত্র তারেক রহমানের কারণে তার এসব যোগ্যতা ধুলোয় মিশিয়ে গেছে। তারেক জিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন। তিনি লন্ডনে যাওয়ার আগে সরকারি চাকরি করতেন। দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার কারণে তার সরকারি চাকরি চলে গেছে। একজন চিকিৎসক হয়েও তিনি তারেক জিয়ার গৃহিনী ছাড়া তেমন কিছুই করছেন না।

বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ বিভিন্ন সময়ে বিএনপিতে তারেক জিয়ার অধ্যায়ের অবসান চেয়েছেন। তিনি মনে করেন যে, তারেক জিয়ার রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করা উচিত এবং তার বদলে তিনি জোবায়দাকে রাজনীতিতে আনার পক্ষপাতী।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, লন্ডনে তারেক জিয়ার সঙ্গে সম্প্রীতি ডা. জাফরুল্লাহর লন্ডন যাত্রায় যে বৈঠক হয়েছে, তার মধ্য দিয়ে জোবায়দাকে রাজনীতিতে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে যে, ক্ষমতার জন্য জোবায়দা ঢাকায় আসতে পারেন কিংবা ঢাকায় আসার পরিকল্পনা করতে পারেন। কিন্তু তার শাশুড়ি যখন কয়েক দফা অসুস্থ ছিলেন, মৃত্যুপথযাত্রী অবস্থায় দিন কাটালেন, সে পরিস্থিতিতে জোবায়দা কিন্তু দেশে আসেননি। তিনি শুধুমাত্র ক্ষমতা এবং অর্থের জন্যই কি দেশে আসতে চান?

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর