শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১ |   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ছদ্মবেশী ডলি ১১ পরিচয়ে ভাড়া নিয়েছিলেন ১১টি বাসা

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯ ০৭ ০১  

ছদ্মবেশী-ডলি-১১-পরিচয়ে-ভাড়া-নিয়েছিলেন-১১টি-বাসা

ছদ্মবেশী-ডলি-১১-পরিচয়ে-ভাড়া-নিয়েছিলেন-১১টি-বাসা

সাজা মাথায় নিয়ে গ্রেফতার এড়াতে ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে পুলিশের জালে আটকা পড়েছেন তিনি। তার নাম ডলি আক্তার। তিনি একজন প্রতারক। 

ডলির বিরুদ্ধে মিরপুরের একাধিক থানায় বেশ কিছু প্রতারণার মামলা রয়েছে। বেশিরভাগ মামলায় তার সাজা হয়েছে। এর মধ্যে পল্লবী থানায় ১৩টি মামলায় তার সাজা হয়েছে, সেগুলোতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। 

জানা গেছে, পরিচিত মানুষের সঙ্গে ভুয়া চেকের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করতেন ডলি। এরপর ঐ টাকা দিয়ে আয়েশি জীবন-যাপন করতেন। প্রতারণার মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ নিয়ে তিনি কয়েক দফা গা ঢাকা দেন। ছদ্মবেশে বিভিন্ন জায়গায় বাসাও ভাড়া নিতেন তিনি। কয়েকজন ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। বেশিরভাগ মামলায় ডলির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আর এসব মামলার বিভিন্ন মেয়াদে সাজাও হয়েছে তার।

নিজেকে বাঁচাতে বেশ কয়েকবার ছদ্মবেশ ধারণ করেন প্রতারক ডলি।  দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে পুলিশের জালে আটকা পড়েন প্রতারক ডলি।  গতকাল (১০ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে পল্লবী থানার একটি চৌকস টিম প্রতারক ডলিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। 

ডলিকে গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া পল্লবী থানার এসআই সজিব খান বলেন, অভিযানে নেমে জানতে পারি প্রতারক ডলি নিজেকে বাঁচাতে বিভিন্ন সময় ছদ্মবেশ ধারণ করেন। তিনি এ পর্যন্ত ১১টি পরিচয়ে ১১টি বাসা ভাড়া নেন। আমরা তার ব্যবহৃত কয়েকটি মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করি। এরপর তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল (বৃহস্পতিবার) তাকে মিরপুর ৬ নম্বর এ ব্লক থেকে ধরতে সক্ষম হই।  

তিনি বলেন, প্রতারক ডলির বিরুদ্ধে শুধু পল্লবী থানায় ১৩টি সাজা এবং ওয়ারেন্ট (গ্রেফতারি পরোয়ানা) রয়েছে। অন্য থানায়ও মামলা রয়েছে। আর এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ মামলাই প্রতারণার। 

পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, এসআই সজিব খান গতাকাল (বৃহস্পতিবার) প্রতারক ডলি আক্তারকে গ্রেফতার করেছেন। ডলির বিরুদ্ধে পল্লবী ও মিরপুর মডেল থানায় বেশ কয়েকটি সাজা এবং ওয়ারেন্ট রয়েছে। 

Provaati
দৈনিক প্রভাতী
এই বিভাগের আরো খবর