সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চাহিদা মেটাতে পারছে না জামায়াত, দূরে সরে গেছে বিএনপি

প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২২ ১৭ ০৫ ০১  

চাহিদা-মেটাতে-পারছে-না-জামায়াত-দূরে-সরে-গেছে-বিএনপি

চাহিদা-মেটাতে-পারছে-না-জামায়াত-দূরে-সরে-গেছে-বিএনপি

বিএনপি জোটগত আন্দোলন করার লক্ষ্যে ২২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। কিন্তু এই তালিকায় জামায়াতে ইসলামীকে রাখেনি বিএনপি। অথচ বিগত সময়ে আন্দোলনের বাহানা দেখিয়ে জামায়াতের কাছ থেকে ৩০০ কোটি টাকা নিয়েছে। বর্তমানে জামায়াত চাহিদা মেটাতে না পারায় তাদের কাছ থেকে সরে গেছে বিএনপি।

বর্তমানে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কর্মসূচি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছে করছে বিএনপি। অথচ জোটে এখনো অনুপস্থিত জামায়াত।

এদিকে, কিছুদিন ধরেই বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। আর এর মধ্যেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন জামায়াতের নেতারা।

জামায়াতের দুই নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন, বিএনপি বিভিন্ন আন্দোলনের বাহানায় জামায়াতের কাছ থেকে ৩০০ কোটি টাকা নিয়েছে। এর মধ্যে ১০০ কোটি টাকা সৌদি প্রবাসী জামায়াত সমর্থকরা দিয়েছেন। ১০০ কোটি টাকা বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান মাধ্যমে বিএনপিকে দেওয়া হয়েছে। আর বাকি ১০০ কোটি টাকা লন্ডনে জামায়াতের নেতাকর্মীরা তারেক রহমানকে দিয়েছেন।

সৌদি আরবে জামায়াতের বেশকিছু অর্থদাতা রয়েছে। যাদের বেশিরভাগই সৌদি নাগরিক এবং সেখানকার প্রভাবশালী ব্যক্তি। এরা বিভিন্ন সংগঠনের নামে প্রতি বছরই জামায়াতকে নিয়মিত অর্থায়ন করে। 

২০০৮ সালের নির্বাচনে সৌদি প্রবাসী জামায়াতের শুভাকাঙ্ক্ষীরা প্রায় ১৫০ কোটি টাকার তহবিল জোগাড় করেছিল। সেই তহবিল থেকে জামায়াতের তৎকালীন আমিরের নির্দেশে বিএনপিকে ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ সৌদি আরবে পলাতক এক নেতার কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু টাকাগুলো বিএনপি নির্বাচনে খরচ করেনি, পুরো টাকাই ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন খালেদা জিয়া। ফলে নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের ভরাডুবি হয়। নির্বাচনে পরাজয়ের পর জামায়াত খালেদা জিয়ার কাছে ঐ টাকার ব্যাপারে জানতে চায়। তখন খালেদা জিয়া জামায়াতকে ভর্ৎসনা করেন। 

জামায়াত নেতারা দাবি করছেন, বিএনপির যখনই টাকার প্রয়োজন হয় তখনই জামায়াতের ওপর নির্ভরশীল হয়। বিএনপি জামায়াতকে আসলে টাকার ব্যাংক মনে করে। এ কারণেই জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছিল। এখন জামায়াতের আর্থিক অবস্থা সেরকম নেই, বিএনপির চাহিদা মেটাতে পারছে না। তাই তারা জামায়াতের কাছ থেকে সরে গেছে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর