সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঘুরে দেখার মতো কিছু বাগান

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২২ ১৭ ০৫ ০১  

ঘুরে-দেখার-মতো-কিছু-বাগান

ঘুরে-দেখার-মতো-কিছু-বাগান

সবুজ-শ্যামল বাংলাদেশের সবুজে হারানোর মতো আনন্দ আর হয় না। শহুরে কোলাহল ছেড়ে, ধুলোবালি পেরিয়ে যখন প্রকৃতির ছোয়ায় পৌঁছবেন, তখন আর ফিরতে ইচ্ছা করবে না। দেশের বুকে এমন কিছু বাগান রয়েছে, যা প্রকৃতির ছোয়া দেওয়ার পাশাপাশি দেবে নতুন কোনো শিক্ষাও।  

চলুন আজ জেনে নেই এমন কিছু বাগানের খোঁজ

শ্রীমঙ্গলের রাবার বাগান

সারি সারি রাবার গাছের ফাঁকফোকর গলে ক্ষণে ক্ষণে উঁকি দেবে সোনালি রৌদ্র। আলো-ছায়ার ঢাকা রাবার বনে ছিমছাম নীরবতা মনে প্রশান্তি আনে। চমৎকার রাবার বাগানটি দেখতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে শ্রীমঙ্গলে। যতদূর চোখ যায় সুউচ্চ বৃক্ষের সারি। ঠিক যেন স্কেল দিয়ে মেপে মেপে একই সমান্তরালে লাগানো গাছগুলো। এই রাবার বাগানে কাঁচা সবুজ রঙের পাতা। সুউচ্চ বৃক্ষের সারি। শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া সড়কের বিটিআর চা বাগানের একপাশে রাবার বাগান, অন্যপাশে চা বাগান ।

স্বরূপকাঠির পেয়ারা বাগান

অসংখ্য পেয়ারা বাগান থেকে পেয়ারা নিয়ে ডিঙিনৌকাগুলো ভিড় করে বাজারে। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলে এই কর্মযজ্ঞ। পাইকারের মাধ্যমে এই পেয়ারা চলে যায় ঢাকাসহ প্রত্যেক বড় শহরে। পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি অঞ্চলে উৎপাদিত পেয়ারা রপ্তানি হয় বিদেশেও।

স্বরূপকাঠির পেয়ারা বাগান

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে, এ অঞ্চলে এক থেকে দশ একরের বাগান রয়েছে। যার মধ্যে কৃত্তিপাশা, ভিমরুলি, শতদাসকাঠি, খাজুরা, মিরাকাঠি, ডুমুরিয়া, জগদিশপুর, খোদ্রাপাড়া, পোষন্ডা, হিমানন্দকাঠি, বেতরা ও আটঘর কুড়িয়ানা গ্রামেই পেয়ারা বাগান বেশি।

তারাপুর চা বাগান

যেদিকে চোখ যায় কেবল সবুজ আর সবুজ। চা-বাগানগুলোর বৈশিষ্ট্যই এমন। চাগাছ আর ছায়া বৃক্ষের সবুজে নয়ন জুড়িয়ে যায়, পাওয়া যায় মানসিক প্রশান্তিও। যারা সিলেট ভ্রমণে যাচ্ছেন বা ইতিমধ্যে চলে গেছেন, তারা নামমাত্র খরচে একটা বিকেল কাটিয়ে আসতে পারেন সিলেট শহরতলীর ঐতিহাসিক চা বাগান তারাপুরে।

তারাপুর চা বাগান

সিলেট শহরতলীর পাঠানটুলা এলাকায় অবস্থিত তারাপুর চা বাগান। বাগানের প্রবেশপথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বা রিকশায় যেতে যেতে ডানে-বাঁয়ে দেখতে থাকুন সবুজ আর সবুজের সমারোহ।

নরসিংদী লটকন বাগান

নরসিংদী লটকন বাগান। ছবি : সংগৃহীত

ছুটির দিনে এমনই এক ভিন্ন কিছুর স্বাদ দিতে পারে লটকনের বাগান। তাই ঢাকার অদূরে লটকনের শহর নরসিংদীর থেকে ঘুরে আসতে পারেন আপনি। লটকন গ্রীষ্মকালীন একটি অতি জনপ্রিয় ফল। ইংরেজিতে এ ফলকে বলা হয় বার্মিজ গ্রেপ। বড় ছোট কারো না নেই এই ফলে। টকমিষ্টি এই ফল খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি দামেও সস্তা। আবার দেখতেও লোভনীয়।

আনারস রাজ্যে

শ্রাবণের শেষ অবধি আনারসের ভরা মৌসুম। এরই মাঝে আপনি চাইলে ঘুরে আসতে পারেন শ্রীমঙ্গলের মোহাজেরাবাদ, বিষামনি, পিচের মুখ বা সাতগাঁও পাহাড়ে । দেশের সবচেয়ে বেশি আনারস উৎপন্ন হয় এই শ্রীমঙ্গলে, তাই শ্রীমঙ্গলকে অনেকে আনারসের রাজধানীও বলে থাকেন।

দেশের সবচেয়ে বেশি আনারস উৎপন্ন হয় শ্রীমঙ্গল। ছবি : সংগৃহীত

শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা হিলস এবং বাহুবলের ফয়েজাবাদ হিলসের ২০/২৫ হাজার একর জমির আনারস দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভোক্তার মন জয় করে আসছে গত চার-পাঁচ দশক পর্যন্ত ।

কাঁঠালের রাজধানী থেকে

বাড়ির উঠানে কাঁঠাল, ঘরে কাঁঠাল, বাইরে কাঁঠাল, গাছে কাঁঠাল, গাছের তলায় কাঁঠাল_ চারদিকে শুধু কাঁঠাল আর কাঁঠাল। বাজারজুড়ে কাঁঠালের স্তূপ। মহাসড়কের দু'পাশে স্তূপ আকারে পড়ে আছে হাজার হাজার কাঁঠাল। পাকা কাঁঠালের গন্ধ মৌ মৌ করে চারদিকে। কথিত আছে, ফলের জন্য বিশেষ করে কাঁঠালের জন্য বিখ্যাত গাজীপুর।

কাঁঠালের জন্য বিখ্যাত গাজীপুর।

কেউ কেউ আবার এ জেলাকে ‘কাঁঠালের রাজধানী’ও বলে থাকেন। দেশের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের বাজারও জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায়। আপনি চাইলে আসছে ছুটির দিনগুলোতে সহজেই ঘুরে আসতে পারেন কাঁঠালের রাজধানী থেকে। তবে যেতে হবে জ্যৈষ্ঠ মাসে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর