শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪ |  কার্তিক ৩০ ১৪৩১ |   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গুরু-শিষ্যের দ্বন্দ্বে চট্টগ্রাম বিএনপির করুণ দশা

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২২ ১২ ১২ ০২  

গুরু-শিষ্যের-দ্বন্দ্বে-চট্টগ্রাম-বিএনপির-করুণ-দশা

গুরু-শিষ্যের-দ্বন্দ্বে-চট্টগ্রাম-বিএনপির-করুণ-দশা

চট্টগ্রামের রাজনীতির মাঠে গুরু-শিষ্য বলে পরিচিত বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। 

নোমানের হাত ধরেই বিএনপির রাজনীতিতে আসেন খসরু। শুরুর দিকে গুরু-শিষ্যের সুসম্পর্ক থাকলেও পরে তা গড়ায় বিভেদে। দলে নিজের অবস্থান শক্ত করে গুরুকে পেছনে ফেলেন খসরু।

বর্তমানে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। 

অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দলের ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়ে গেছেন গুরু আবদুল্লাহ আল নোমান। গুরু-শিষ্যের এমন উত্থান-পতনে রীতিমতো চলতে থাকে দ্বন্দ্ব, যা গড়ায় মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী পর্যন্ত।

নগর বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, নোমান-খসরু দ্বন্দ্বের কারণেই চট্টগ্রাম বিএনপির এমন করুণ দশা। 

এ দুই নেতার হাতে জিম্মি অন্য নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশ খসরুর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আরেকটি একটি অংশ নোমানের। ফলে অন্য নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে বিএনপিতে একটি ধারা আনতে চাইলেও দুই শীর্ষ নেতার কোন্দলে তা সম্ভব হয়ে ওঠে না।

আরো পড়ুন>>> দেশের রাজনীতিতে ফের তৃতীয় শক্তির উত্থানের অপচেষ্টা বিএনপির

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগর বিএনপির একজন নেতা বলেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামের দলীয় কার্যক্রমে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকেই প্রধান অতিথি করা হয়। এমন অবস্থায় সাংগঠনিক কার্যক্রমগুলোতে অংশগ্রহণে বিব্রতবোধ করেন আবদুল্লাহ আল নোমান।

একপর্যায়ে তিনি জানিয়েও দিয়েছেন- আমীর খসরু যেখানে প্রধান অতিথি, সেখানে যেন তাকে আমন্ত্রণ জানানো না হয়।

বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, শীর্ষ দুই নেতার কোন্দলে দলীয় কার্যক্রম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। সাংগঠনিক কোনো কর্মকাণ্ডে তাদের একসঙ্গে দেখা যায় না। 

এর ফলে দূরত্ব দৃষ্টি হয়েছে তাদের সমর্থকদের মধ্যেও। দিনশেষে এতে দলেরই ক্ষতি। ফলে একসঙ্গে কাজ করতে চাইলে আগে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতে হবে। এতে দলেরই মঙ্গল হবে বলেও জানান তিনি।

Provaati
দৈনিক প্রভাতী
এই বিভাগের আরো খবর