আদর্শের প্রশ্নে শেখ হাসিনার কর্মীরা আপসহীন: এনামুল হক শামীম

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রশ্নে শেখ হাসিনার কর্মীরা কখনও আপস করে না।

তিনি বলেন, আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাজপথ প্রকম্পিত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছে। আমরা সবসময় ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতে গৌরবান্বিত মনে করি।

সোমবার ঢাকার একটি রেস্তোরায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি বিশ্বমানের বাসযোগ্য দেশে পরিণত হচ্ছে। তার নেতৃত্বে দেশ আজ সারাবিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন। আগামী নির্বাচনেও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের যে যার অবস্থান থেকে কাজ করে শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আনতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা পূরিপূর্ণরূপে একটি বিশ্বমানের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছে।

ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী নিজের জীবনকে অকাতরে উৎসর্গ করেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তীতে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পরে প্রথমে খুনি মোশতাক সরকার এবং পরে জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার শাসনামলেও জেল-জুলুম-হুলিয়ার শিকার হয়ে অগণিত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে কারাবরণ, দেশত্যাগ, অমানবিক নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে যা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে নেই। ছাত্রলীগের যে ত্যাগ, যে অর্জন তা অন্য কারো নেই। ছাত্রলীগের ইতিহাস ছাত্রলীগই।

তিনি বলেন, সাবেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের নিজস্ব মেধা ও কর্মের মাধ্যমে আজকে সমাজের বিভিন্ন স্তরে সুপ্রতিষ্ঠিত। ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দৃঢ়তা, সততা, নিষ্ঠা এবং সাহসিকতার সঙ্গে।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন- ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বর্তমান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, আমিনুল ইসলাম আমিন, গোলাম রাব্বানী চিনু, শামসুন্নাহার চাঁপা, বাহাদুর বেপারী, অজয় কর খোকন, লিয়াকত সিকদার, নজরুল ইসলাম বাবু, আফজালুর রহমান বাবু, মারুফা আক্তার পপি, দেলোয়ার হোসেন ও বদিউজ্জামান সোহাগ।