বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১ |   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অস্তিত্ব সংকটে ড. কামালের গণফোরাম

প্রকাশিত: ৬ মে ২০২২ ১৫ ০৩ ০১  

অস্তিত্ব-সংকটে-ড-কামালের-গণফোরাম

অস্তিত্ব-সংকটে-ড-কামালের-গণফোরাম

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। তৃণমূলে সম্মেলন আর নতুন কমিটি করার মধ্য দিয়ে চাঙা করা হচ্ছে নেতাকর্মীদের।

এদিকে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল যখন নির্বাচন কেন্দ্রিক ব্যস্ত সময় পার করছে, তখন নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম। ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে- একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে প্রধান ভূমিকা পালন করা ড. কামাল হোসেন এখন নীরব কেন?

বিশ্লেষকরা বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে গণফোরামের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের মধ্যে আস্থার সংকটে ড. কামাল হোসেন রাজনীতিতে অনেকটা একা হয়ে পড়েছেন। বিএনপি যে প্রত্যাশা নিয়ে কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টে যোগদান করেছিল, তা পূরণ হয়নি। বরং ড. কামাল হোসেনকে চক্রান্তকারী হিসেবে বিবেচনা করছে বিএনপি।

অন্যদিকে নিজ দল গণফোরামেও তার ভূমিকা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। নানা কারণে দলটি এখন অনেকটা গৃহবিবাদে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিলকে ঘিরে দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টুর মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান ঐ কাউন্সিলের মঞ্চে উপস্থিত হলে দলের কতিপয় নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সে সময় মোকাব্বির খান দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে জাতীয় সংসদে যোগ দেওয়ায় সাধারণ সম্পাদক মন্টু কাউন্সিলে উপস্থিত হননি। তিনি মনে করেন, মোকাব্বির খান সংসদে গেছেন ড. কামাল হোসেনের ইন্ধনে। তাকে কাউন্সিলেও আসতে বলেছেন ড. কামাল। একই সঙ্গে ঐ কাউন্সিলে মন্টুকে বাদ দিয়ে ড. রেজা কিবরিয়াকে দলের সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেওয়ায় দ্বন্দ্ব চরম অবস্থায় পৌঁছে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রেজা কিবরিয়াও গণফোরামে স্থায়ী হননি। পদত্যাগ করে তিনি এখন নুরের গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিনের সঙ্গী গণফোরামের সাবেক নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু ড. কামাল হোসেনকে ছেড়ে আলাদা একটি বলয় গড়েছেন। এতে কামাল হেসেন একা হয়ে পড়েছেন। এর ফলে গণফোরাম এখন কার্যত ভাঙনের পথে।

অন্যদিকে ড. কামাল হোসেনের বয়স হওয়ার কারণে এ ভাঙন রোধে যে উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার, সেটাও তিনি করতে পারছেন না। এসব কারণে গণফোরাম এখন অনেকটা অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর