বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১ |   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাধীনতার অপশক্তির প্রধান রক্ষাকবচ বিএনপি: হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২২ ১৯ ০৭ ০২  

স্বাধীনতার-অপশক্তির-প্রধান-রক্ষাকবচ-বিএনপি-হাছান-মাহমুদ

স্বাধীনতার-অপশক্তির-প্রধান-রক্ষাকবচ-বিএনপি-হাছান-মাহমুদ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও এখনো স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি অস্ফালন করছে। আর স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির প্রধান রক্ষাকবচ ও পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি।

শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহরের এলজিইডি অডিটোরিয়ামে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এখনো সক্রিয়। তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে খুশি নয়। এ অপশক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। এ অপশক্তি করোনাকালে, পদ্মাসেতু নির্মাণের সময় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এখন তারা দেশের মানুষকে নিয়ে মশকরা শুরু করেছে।

তিনি আরো বলেন, করোনা, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। আমাদের দেশে আমদানি নির্ভর কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। সেই মূল্যবৃদ্ধি অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। 

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিম্মআয়ের মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক কোটি পরিবারকে বিশেষ কার্ড প্রদান করেছেন। এতে তারা কমমূল্যে টিসিবি থেকে পণ্য কিনতে পারছে। এর ফলে জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কিন্তু জনগণের মধ্যে স্বস্তি আসায় বিএনপি ও কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী নামধারীর অস্বস্তি বেড়ে গেছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে গণহত্যা শুরু হয়েছিল, যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আমাদের দাবি অব্যাহত আছে। এটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি যৌক্তিক।

তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদের বিষয়টি অস্বীকার করেন। বিএনপি ও খালেদা জিয়ার বক্তব্য গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। নতুবা আমরা গণহত্যার স্বীকৃতি সহজেই পেতাম।

হাছান মাহমুদ বলেন, হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালিকে জাগ্রত করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ধাপে ধাপে আমাদের দেশপ্রেম উজ্জীবিত করেছিলেন, স্লোগান শিখিয়েছিল। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা পোড়ামাটির নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিল। গ্রামের পর গ্রামকে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশকে ধ্বংস স্তুপ থেকে পুনর্গঠিত করে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু একাত্তরের পরাজিত শক্তির চক্রান্তে তাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে যদি হত্যা না করা হতো তাহলে সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্র হতো। 

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন-উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. মঈন উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, আবুল কাশেম চিশতি, সদস্য ইফতেখার হোসেন বাবুল, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, মো. সেলিম, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী দিলোয়ারা ইউসুফ, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন তপু প্রমুখ।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর