শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১ |   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১ ০৯ ০২  

শেখ-হাসিনা-গণতান্ত্রিক-মূল্যবোধকে-সমুন্নত-রাখতে-বদ্ধপরিকর-ওবায়দুল-কাদের

শেখ-হাসিনা-গণতান্ত্রিক-মূল্যবোধকে-সমুন্নত-রাখতে-বদ্ধপরিকর-ওবায়দুল-কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেকোনো মূল্যে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন ও সার্চ কমিটি নিয়ে বিএনপির মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। 

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের মধ্যে কোনো আবেদন তৈরি করতে না পেরে বা জনস্বার্থে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ না করে বিএনপি নেতারা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে লাগাতার দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিয়ে চলেছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে উন্মুক্ত বিএনপি নেতাদের এমন নির্লজ্জ ও বেপরোয়া আচরণ বরাবরের ন্যায় জাতি এখনও প্রত্যক্ষ করছে।

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র মিথ্যাচার ছাড়া বিএনপির কোনো রাজনৈতিক ভিত্তি নেই। হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি তার রাজনৈতিক নীতির উত্তরাধিকার পরিত্যাগ করতে পারেনি। বরং অপরাজনীতির হাতিয়ারগুলোকে শাণিত করে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অপকৌশল গ্রহণ করছে এবং জাতিকে বিভ্রান্ত করে চলেছে। তারই অংশ হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শিষ্টাচার বহির্ভূতভাবে সার্চ কমিটি নিয়ে মন্তব্য করেছে। একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। 

তিনি আরো বলেন, আশা রাখি, সার্চ কমিটির সদস্যরা তাদের নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে। সার্চ কমিটির অনুসন্ধান প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে। সার্চ কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা কার্যপ্রণালী সমাপ্ত করার পূর্বেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সার্চ কমিটি নিয়ে লাগামহীন মন্তব্য করে চলেছে। 

সেতুমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় সার্চ কমিটি গঠন এবং তার সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন এবার একটি সুনির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে। অথচ আমরা দেখেছি, ২০০৫ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন অবস্থায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কীভাবে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় বিচারপতি এম এ আজিজকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল। গণতান্ত্রিক রীতিনীতি তো দূরের কথা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা প্রদর্শন না করা বিএনপির কাছে বর্তমান সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে সুদীর্ঘ গণতান্ত্রিক ও আইনি প্রক্রিয়াকে তামাশা বলেই মনে হবে।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্রের নিখাদ শত্রু বিএনপি যতই পোশাকি গণতন্ত্রের আবরণে ছদ্মবেশ ধারণ করে নিজেদের লুকানোর চেষ্টা করুক না কেন, জাতির কাছে তাদের স্বরূপ অনেক আগেই উন্মোচিত। এদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ধ্বংস হয়েছে অসাংবিধানিক ও অবৈধ উপায়ে জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে বিএনপি যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। বিপরীতে এদেশের মানুষের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সব গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাত ধরে।

Provaati
দৈনিক প্রভাতী
এই বিভাগের আরো খবর