সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যেভাবে করবেন ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭ ০৫ ০১  

যেভাবে-করবেন-ট্রাভেল-ইনস্যুরেন্স

যেভাবে-করবেন-ট্রাভেল-ইনস্যুরেন্স

করোনাকাল ভ্রমণ খাতকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। আর ওমিক্রন আতঙ্ক দেখা দেয়ার পর ভ্রমণবিধিতে পরিবর্তন এনেছে একাধিক দেশ। সেই তালিকায় রয়েছে নেপালও। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে দেশটিতে প্রবেশে পাঁচ হাজার ডলারের ট্রাভেল ইনস্যুরেন্সের প্রয়োজন হবে।

বাংলাদেশ থেকে নেপাল যেতে আগ্রহী অনেক পর্যটকের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স কী? কীভাবে এটি হবে? কতো টাকা দিয়ে করতে হবে?

ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স অথবা ভ্রমণ বিমা হলো ভ্রমণের ঝুঁকি নিরাপত্তা চুক্তি। যদি কোনো ব্যক্তি ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স পলিসি কেনেন, তাহলে ভ্রমণে যাওয়ার সময় তার কোনো ক্ষয়ক্ষতি হলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে বিমা কোম্পানি।

দেশের ট্যুর অপারেটরগুলো জানিয়েছে, পর্যটকরা যেসব ট্রাভেল এজেন্সি বা ট্যুর অপারেটরের কাছ থেকে নেপালের ফ্লাইটের টিকিট কিনবেন, তারাই ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স করে দেবে। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটেন, সেক্ষেত্রে তিনি গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের যেকোনো শাখায় গিয়ে ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স করতে পারবেন।

জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে নেপালসহ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে যাওয়া যাত্রীদের জন্য সর্বনিম্ন ১৫ দিনের ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স করে দেয় গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স। এ ইনস্যুরেন্স এক লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত কভারেজ দেওয়া হয়।  

ট্রাভেল ইন্সুরেন্স করতে কতো টাকা লাগে?
যাদের বয়স শূন্য থেকে ৪০ বছর, তাদের ১৫ দিনের ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স করতে প্রিমিয়াম দিতে হবে এক হাজার ৬৫৩ টাকা। যাত্রীর বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর হলে দুই হাজার ৫১৩, ৫১ থেকে ৬৫ বছর হলে তিন হাজার ৩৬০, ৬৬ থেকে ৭০ বছর হলে ১০ হাজার ৮১৫, ৭১ থেকে ৭৫ বছর হলে ১৮ হাজার ৮৮৯, ৭৫ থেকে ৭৯ বছর হলে ৩৭ হাজার ৭৩০ টাকা দিতে হবে।

তবে কোনো যাত্রীর বয়স যদি ৭৯ বছরের এক দিনও বেশি হয়ে থাকে, তবে সেক্ষেত্রে ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স দেবে না প্রতিষ্ঠানটি। ট্রাভেল ইনস্যুরেন্সের জন্য যাত্রীর পাসপোর্টের কপি এবং বিমা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া একটি প্রপোজাল ফরমে সই করতে হবে।

আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে যাত্রীদের কোভিড-১৯ ইনস্যুরেন্স থাকার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করেছে নেপাল। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে দেওয়া এক চিঠিতে নেপালের সিভিল এভিয়েশন জানায়, বাংলাদেশ থেকে কোনো যাত্রীকে নেপালে যেতে হলে পাঁচ হাজার ডলার অথবা সমপরিমাণ নেপালি রুপির কোভিড-১৯ ইনস্যুরেন্স করতে হবে। এ ইনস্যুরেন্স নেপালে আসা যাত্রীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের খরচ বহন করবে। সব বয়সের যাত্রীর জন্য ইনস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক।

ঢাকা থেকে নেপালের কাঠমান্ডু রুটে বর্তমানে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও হিমালয়া এয়ারলাইন্স। এ রুটে বিমানের সর্বনিম্ন রিটার্ন ভাড়া ২২ হাজার, হিমালয়ার ক্ষেত্রে ১৬ হাজার ৪০০ টাকা। ইনস্যুরেন্স না থাকলে ঢাকা বিমানবন্দরে যাত্রীর বোর্ডিং পাস ইস্যু না করার অনুরোধ করেছে নেপালের সিভিল এভিয়েশন।

ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স ছাড়া নেপাল সরকার দেশটিতে ভ্রমণে তেমন কোনো কঠোর বিধি রাখেনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মাস্ক পরে পর্যটকদের সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দেশটিতে প্রবেশের ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ নিতে হবে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর