রোববার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |  আশ্বিন ৬ ১৪৩১ |   ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মির্জা ফখরুলসহ ৭ নেতার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা

প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২২ ১৮ ০৬ ০২  

মির্জা-ফখরুলসহ-৭-নেতার-বিরুদ্ধে-বিএনপি-নেতার-মামলা

মির্জা-ফখরুলসহ-৭-নেতার-বিরুদ্ধে-বিএনপি-নেতার-মামলা

চাঁদপুর জেলা বিএনপির সম্মেলনের ফলাফল বাতিল ও পুনর্নির্বাচন চেয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়াসহ সাত নেতার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্প্রতি চাঁদপুর সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রাফিউস শাহাদাত ওয়াসীম পাটোওয়ারী।

এ মামলার আসামিরা হলেন- চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. সলিমুল্লাহ সেলিম, সম্মেলনের নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মো. শামছুল ইসলাম মন্টু, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া ও বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইদুল হক সাইদ।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ৩নং বিবাদী সম্মেলনের নির্বাচন কমিশনার মো. শামছুল ইসলাম মন্টু ঘোষিত ফল এবং বিজয়ী ১ ও ২নং বিবাদী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদের ওপর স্থগিতাদেশ চান মামলার বাদী।

মামলার বাদী বিএনপি নেতা রাফিউস সাহাদাত ওয়াসীম পাটওয়ারী দাবি করেন, জেলা বিএনপির সম্মেলনটি বৈধ হয়নি। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এক ব্যক্তি তিনটি পদে থেকে নির্বাচন করতে পারেন না। কিন্তু জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক তা করেছেন। এছাড়া ঐদিন তারা ১০ ইউনিটকে নিয়ে সম্মেলন করে। অপরপক্ষ ১১ ইউনিটকে নিয়ে আরেকটি স্থানে (হাজীগঞ্জে) সম্মেলন করে। ১১ ইউনিটকে উপেক্ষা করে তারা এটি করতে পারেন না। তাছাড়া জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভোটার ছিল ১৫০০ জন। অথচ তারা কাস্টিং ভোট বেশি দেখিয়েছেন। যারা মারা গেছেন, তারা কীভাবে ভোট দিলেন?

তিনি বলেন, সম্মেলনে অনিয়মের শক্তিশালী এভিডেন্স আছে। দলের মহাসচিবকে আসামি না করলে মামলার মেরিট (যোগ্যতা) থাকে না। আমরা তো মহাসচিবের কাছেই বিচার চাইব। তাকে যেহেতু মামলা মোকাবিলা করতে হবে- তাই তিনি একটা ফয়সালা দেবেন। নিয়মতান্ত্রিক কারণেই মহাসচিবকে মামলার বিবাদী করা হয়েছে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর