বিএনপির বিক্ষোভ বর্ষসেরা কৌতুক: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপির বিক্ষোভ বছরের সেরা কৌতুক। বিএনপি নেতারা বিশ্ব অর্থনীতির সাম্প্রতিক গতিধারা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব, কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার দেখেন না। তারা  শুধু সরকারের তথাকথিত ব্যর্থতা খোঁজেন। আর স্বপ্ন দেখেন ক্ষমতার মসনদ। বিএনপির রাজনীতি এখন উটপাখির নীতিতে চলছে।

বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে ব্রিফিংয়ের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বিশ্ব-সংকটে বালুতে মাথা গুঁজে রয়েছে। তারা চিরাচরিত সরকারবিরোধী বিষোদগার অব্যাহত রেখেছে। তাদের রাজনীতিতে নতুনত্ব নেই। জনমানুষের কল্যাণে তাদের কোনো ভাবনাও নেই। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্ববাজারে তেল-গ্যাস, ভোজ্যতেল, সারের দাম এখনো অস্থির। সরকার জনকল্যাণে ভর্তুকি দিয়ে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি বিক্ষোভ-মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে ভালো কথা, তারা বিক্ষোভ করুক, মিছিল করুক- এটা বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু বিক্ষোভের নামে জনশান্তি বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা চালালে সরকার তা কঠোর হাতে দমন করবে।

বিএনপি নেতাদের নির্বাচনী গণতন্ত্রের কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চেয়ে বলেন, নির্বাচিত হয়ে সংসদে না যাওয়া কোন নির্বাচনী গণতন্ত্র? যাদের নিজেদের সর্বাঙ্গে পঙ্কিলতা, তাদের গণতান্ত্রের ছবক দেওয়া হাস্যকর ও অর্থহীন। 

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে নিন। নিজ দলে গণতন্ত্র চর্চা করুন। গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে বর্ণচোরা ফ্যাসিবাদ আর লুটপাটতন্ত্রের সমন্বিত কদর্য রূপ। 

এর আগে, সচিবালয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। 

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী কার্যালয়ের শান্তি ও উন্নয়ন উপদেষ্টা রেবেকা আদ্দা-দনতো এ সময় উপস্থিত ছিলেন।