শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪ |  কার্তিক ৩০ ১৪৩১ |   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপির অধঃপতনের জন্য কেন্দ্রীয় নেতারাই দায়ী

প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২২ ১৪ ০২ ০২  

বিএনপির-অধপতনের-জন্য-কেন্দ্রীয়-নেতারাই-দায়ী

বিএনপির-অধপতনের-জন্য-কেন্দ্রীয়-নেতারাই-দায়ী

বিএনপির রাজনৈতিক অধঃপতনের জন্য তৃণমূল নয় বরং কেন্দ্রের দায়িত্বশীল নেতাদের ব্যর্থতাই দায়ী বলে মনে করেন সদ্য বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরা।

তারা মনে করেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের খামখেয়ালিপনা, পদ-বাণিজ্য, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে তৃণমূলে অসন্তোষ বাড়ছে। এরপরও তৃণমূল নেতরা কেবল খালেদা জিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে রাজনীতি করছেন। বিএনপির সিনিয়র নেতারা লোভ-লালসা ও প্রভাব বিস্তারের রাজনীতি থেকে বের হতে না পারলে আগামীতে বিএনপি করার কেউ থাকবে না বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র ও দায়িত্বশীল এক নেতা জানান, বিএনপি মূলত তৃণমূলের শক্তির ওপর নির্ভর করে রাজনীতি করে। আমি যতদূর জানি, তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা লোভ-লালসা ও পদ-বাণিজ্যের রাজনীতি করেন না। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও নীতি-নির্ধারক কমিটির বেশিরভাগ সদস্য এর উল্টো রাজনীতিতে ব্যস্ত। তারা পদ-বাণিজ্য, মনোনয়ন বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মে জড়িত। তৃণমূলে যেসব কর্মী রাজনীতি করেন, তারা কিছু চান না। তাদের লোভ-লালসা কম। রিজভী আহমেদের মতো কিছু নেতা বিএনপির ক্ষতি করছেন।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির সাধারণ কর্মীদের ভালো হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। সেই কর্মীরা শুধু একটু ভালোবাসা চান, একটু সম্মান চান। এর বেশি কিছু তৃণমূলের কর্মীরা চান না। কিন্তু কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা অর্থ চান, তোষামোদি চান। তোষামোদি ও চাটুকারিতা না করতে পারলে বিএনপিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়া যায় না। এটি চরম সত্য। এর ফলে বিএনপি রাজনীতিতে ক্ষয়িষ্ণু শক্তিতে পরিণত হচ্ছে। 

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, যদি সত্যিকার অর্থে বিএনপিকে রক্ষা করতে হয় তবে চাটুকার, লোভী ও বিভেদ সৃষ্টিকারী নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে বিএনপি আগামীতে কর্মীশূন্য হয়ে পড়বে।

Provaati
দৈনিক প্রভাতী
এই বিভাগের আরো খবর