শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১ |   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপিতে কোণঠাসা সিনিয়র তিন নেতা

প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩ ০১ ০১  

বিএনপিতে-কোণঠাসা-সিনিয়র-তিন-নেতা

বিএনপিতে-কোণঠাসা-সিনিয়র-তিন-নেতা

বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ইস্যুতে বেফাঁস মন্তব্য এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিভিন্ন মহলে পাচারের অভিযোগে দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন মির্জা আব্বাস, আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

গুঞ্জন রয়েছে, দলে গুরুত্বহীন হয়ে পড়া এ তিন নেতা বিভিন্ন সময়ে বিএনপিবিরোধী শক্তির সঙ্গে আঁতাত করেছেন। একই সঙ্গে করেছেন নানা তথ্য পাচার। এসব দুষ্কর্ম জানাজানি হয়ে যাওয়ায় দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে তারা। 

বিএনপির ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র বলছে, বিগত দেড় বছর অসুস্থতার অজুহাতে হাসপাতালে যে সাড়ে ৪ কোটি টাকা বিল হয়েছে, তার পুরোটাই খরচ হয়েছে দলীয় ফান্ড থেকে। মির্জা আব্বাস, আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও খন্দকার মোশাররফ হোসেন চাচ্ছেন অযথা হাসপাতালকে টাকা দেওয়া বন্ধ করতে। এ কারণে বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন প্রচেষ্টা ও দল গঠনের প্রক্রিয়ায় নিজেদের বিভ্রান্তিকর মতামত চাপিয়ে দিচ্ছেন। যদিও এমন অপচেষ্টার কারণে তারা দলের ভেতর চাপে পড়েছেন।

এ তিনজন নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করা ও বিএনপিবিরোধী দলগুলোর কাছে তথ্য পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে। আর এসব অভিযোগ তারেক রহমানের কান পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ায় আপাতত তাদের দলীয় কার্যক্রম নিয়ে মাথা না ঘামাতে নির্দেশ দিয়েছেন। 

বেগম জিয়াও রহস্যময় কারণে এ তিন নেতার বিষয়ে কোনো কথা শুনতেও রাজি হচ্ছেন না। যার ফলে বিএনপির রাজনীতিতে গুঞ্জন উঠেছে, মূলত বেফাঁস মন্তব্য করা ও তথ্য পাচারের অভিযোগেই দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন মির্জা আব্বাস, মিন্টু ও মোশাররফরা।

দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন কিনা জানতে চাইলে আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ব্যক্তিগত কারণে দলের রাজনীতিতে সময় দিতে পারছি না। এমনকি রাজনীতি করার মতো পূর্বের ন্যায় আগ্রহও পাচ্ছি না।

এ বিষয়ে মির্জা আব্বাস ও খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া সম্ভব হয়নি।

Provaati
দৈনিক প্রভাতী
এই বিভাগের আরো খবর