বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১ |   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বর্ষাকালের ব্যাঙ ডাকার মতোই বিএনপির বক্তব্য: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২২ ২৩ ১১ ০১  

বর্ষাকালের-ব্যাঙ-ডাকার-মতোই-বিএনপির-বক্তব্য-তথ্যমন্ত্রী

বর্ষাকালের-ব্যাঙ-ডাকার-মতোই-বিএনপির-বক্তব্য-তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দেশে বর্ষাকালে চারিদিক যখন তলিয়ে যায় তখন ব্যাঙ ডাকে। বিএনপির বক্তব্য বর্ষাকালের ব্যাঙ ডাকার মতোই। তারা সমাবেশ করতে পারে না। সমাবেশের নামে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, আসলে বিএনপির মাথাটাই খারাপ হয়ে গেছে, কারণ তারা দীর্ঘদিন রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে। নয়াপল্টনের অফিসে বসে প্রতিদিন আওয়ামী লীগের বিদায় ঘণ্টা বাজায় কিন্তু কেউ সাড়া দেয় না। তারা নিজেরাই নিজেদের বিদায় ঘন্টা বাজাচ্ছে, আওয়ামী লীগের নয়। তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, কারণ ১৩ বছরে দেশটা বদলে গেছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশের এই উন্নয়নে দিশেহারা হয়ে বিএনপি নেতারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তারা বুঝে গেছেন, বিএনপির বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।

ড. হাছান বলেন, পদ্ম সেতু নিয়ে বিএনপির মন্তব্যের পর এখন বানরও ভেংচি কাটে। তারা বলেছিল, পদ্মাসেতু তৈরি করা সম্ভব নয়। কিন্তু পদ্মাসেতু এখন হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী গাড়ি চালিয়ে এর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পাড়ি দিয়েছেন। তাই পদ্মাসেতুতে ওঠার আগে বিএনপির নেতাকর্মীদের তওবা পড়া উচিৎ।

দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, সরকার এ পর্যন্ত যেসব উন্নয়ন করেছে তাতে নৌকা বাদে অন্য কোথাও ভোট যাওয়ার কথা নয়। যদি যায়, বুঝতে হবে নেতাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কারণে মানুষ ভোট দেয়নি। ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ আমরা দেখতে চাই না। এদের কারণে দেশের উন্নয়নে ভাটা পড়তে দিতে পারি না।

নেতৃত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাত গুটিয়ে থাকা ও দলের সাধারণ কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখা মানুষদের আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকার কোনো অধিকার নেই। দলেও তাদের দরকার নেই। যারা টাকা দিয়ে নেতা হতে চায় তাদের প্রয়োজন নেই।

দ্রব্যমূল্য বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইদানীং কিছু কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে, এটি সারা পৃথিবীতেই বেড়েছে। আমাদের দেশেও কিছুটা বেড়েছে, কিন্তু তুলনামূলকভাবে কম। তবুও আমাদের প্রধানমন্ত্রী এক কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এটি অব্যাহত থাকবে, যেন সাধারণ মানুষের কষ্ট না হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার। প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা। বিশেষ অতিথি ছিলেন- রাজশাহীর পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসনের এমপি ডা. মনসুর রহমান, পবা-মোহনপুর আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আনজুম মিতা ও জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. চিন্ময় কান্তি দাস।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর