পর্দার আড়ালে কলকাঠি নাড়ছে জামায়াতে ইসলামী

স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট শক্তি জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। সস্প্রতি বিএনপিসহ বিচ্ছিন্ন দলকে পর্দার আড়াল থেকে উসকানি দিচ্ছে দেশবিরোধী এ দলটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচিতে নেই। বিএনপির সঙ্গে তাদের আনুষ্ঠানিক সম্পর্কও নেই। কিন্তু আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি না থাকলেও জামায়াতে ইসলামী যেমন গোপনে গোপনে বিভিন্ন কাজ করছে, ঠিক তেমনিভাবে বিএনপির সঙ্গেও জামায়াতের পর্দার আড়ালের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আর এ কারণেই জামায়াতের তৎপরতার বহুমাত্রিকতা ক্ষমতাসীনদের নতুন সংকটে ফেলতে চাইছে।

জামায়াতের কারণেই নির্বাচন কমিশন প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছে বিএনপি। যেহেতু জামায়াত নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয়, কাজেই রাষ্ট্রপতির সংলাপে জামায়াতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। একইভাবে নির্বাচন কমিশনের জন্য গঠিত সার্চ কমিটিও জামায়াতের কাছ থেকে নাম চায়নি। আর জামায়াত যেহেতু অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে সেজন্য এ ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করতে জামায়াতে ইসলামী বিএনপিকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা থেকে বিরত রাখছে। 

জামায়াতের দ্বিতীয় পদক্ষেপ হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ষড়যন্ত্র। বিভিন্ন লবিস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াত সক্রিয় প্রচারণা করছে বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জামায়াত নিয়ন্ত্রিত এনজিও এবং বিদেশে জামায়াতের লবিস্টরা জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার শুরু করছে। এ অপপ্রচারের তারা মূলত গণতন্ত্র, মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ইত্যাদি ইস্যুকে সামনে নিয়ে আসছে।

জামায়াতে ইসলামী মনে করছে যে, আন্তর্জাতিকভাবে যদি এ রকম চাপ সৃষ্টি করা যায়, তাহলে সরকারকে চাপে ফেলা যাবে। যার ফলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে ফায়দা হাসিলের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া যাবে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, জামায়াতে ইসলামী এখন নিজে কোনো কাজ না করে বিভিন্ন সংগঠনের ভেতর থেকে কাজ করছে। জামায়াতের সবচেয়ে নিয়ন্ত্রিত সংগঠন হলো বিএনপি। জামায়াতের পরামর্শেই বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি বার বার উচ্চারণ করছিল, যা সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ।