রোববার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |  আশ্বিন ৭ ১৪৩১ |   ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দ্বন্দ্ব-গ্রুপিংয়ে দুর্বল হচ্ছে বিএনপির মহানগর

প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২২ ১৩ ০১ ০২  

দ্বন্দ্ব-গ্রুপিংয়ে-দুর্বল-হচ্ছে-বিএনপির-মহানগর

দ্বন্দ্ব-গ্রুপিংয়ে-দুর্বল-হচ্ছে-বিএনপির-মহানগর

দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিংয়ে দুর্বল হচ্ছে বিএনপির মহানগর শাখাগুলো। ১৩টি মহানগরের অধিকাংশই কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে কর্মী সংকটে পড়ছে। ফলে শাখাগুলোর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ওপর নির্ভর করে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হচ্ছে।

এর কারণ হিসেবে নেতারা জানান, রাজশাহী ও বরিশালসহ আরো কয়েকটি মহানগরের কমিটি গঠনে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নেতৃত্ব নির্বাচনে সঠিক তথ্য দেননি। যে কারণে অযোগ্যদের দিয়ে দুর্বল কমিটি করা হয়েছে।

বর্তমানে বেশ কয়েকটি মহানগরের ত্যাগী ও পরীক্ষিত অনেক নেতা রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন। বরিশাল, রাজশাহী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম মহানগরের দলীয় কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট নন বিএনপির হাইকমান্ড। 

বিএনপির সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ১৩টি মহানগর রয়েছে। এগুলো হলো- ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, গাজীপুর, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা মহানগর।

মার্চে অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈসাকে আহ্বায়ক ও মামুন-অর-রশিদকে সদস্য সচিব করে রাজশাহী মহানগরের ৬১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। তখনই এ কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মহানগরের একটি অংশ। তারা অভিযোগ করেন, কমিটি গঠনে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এমন ভুলের খেসারত সামনে বিএনপিকে দিতে হবে।

রাজশাহী মহানগরের কমিটি গঠনের তিন মাস যেতেই সদস্য সচিবকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ৬ জুন কেন্দ্রে লিখিত আবেদন করেন কমিটির আহ্বায়ক এরশাদ আলী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নজরুল হুদা, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, ওয়ালিউল হক, আসলাম সরকার, বজলুল হক ও জয়নাল আবেদীন। তারা বলেন, কমিটিতে ত্যাগী নেতাকর্মীদের বদলে শ্রমিক, মাদক সেবনকারী ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা স্থান পেয়েছেন। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন-অর-রশীদ অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের কমিটিতে ভিড়িয়েছেন।

আবেদনে বলা হয়, সদস্য সচিব দলের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে পছন্দের লোকজনদের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটিতে দেন। এদের মধ্যে মোটর শ্রমিক, দিনমজুর, বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত মাদক সেবনকারীও আছেন। এরপর থেকে দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে মামুনের লোকজন দলের নেতা থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ করছেন। এমনকি মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। এসব কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে বাদ দিয়ে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বরিশাল মহানগরেরও একই অবস্থা। নানা নাটকীয়তার পর মনিরুজ্জামান খান ফারুককে আহ্বায়ক ও অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবির জাহিদকে সদস্য সচিব করে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি কমিটি দেওয়া হয়, যাদের ২১ জুলাই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। 

স্থানীয় নেতারা জানান, মহানগরের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীদের বাদ দিয়ে ঐ কমিটি গঠন করা হয়।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর