মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |  আশ্বিন ৮ ১৪৩১ |   ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চেয়ারপার্সন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়ে বিএনপিতে সমালোচনা

প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২২ ১৩ ০১ ০১  

চেয়ারপার্সন-ও-ভারপ্রাপ্ত-চেয়ারম্যান-নিয়ে-বিএনপিতে-সমালোচনা

চেয়ারপার্সন-ও-ভারপ্রাপ্ত-চেয়ারম্যান-নিয়ে-বিএনপিতে-সমালোচনা

দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘তারেক রহমানকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান’ ঘোষণা করে বিএনপি। তবে সরকারের অনুকম্পায় কারামুক্ত হয়ে খালেদা জিয়ার বাসায় প্রত্যাবর্তনের পরও ওই অবস্থান পরিবর্তনের বিষয়ে বিগত দুই বছরেও বিএনপি কিছু স্পষ্ট জানায়নি।

এখন এ নিয়ে চেয়ারপার্সন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থাকায় দলের ভেতরে ও বাইরে চলছে নানা রকম সমালোচনার ঝড়।

এ গুঞ্জন আরো বেশি চাউড় হয়েছে তারেকের বিতর্কিত নেতৃত্বের কারণে। তার নেতৃত্বে দলের ‘দুরবস্থা’ নিয়ে এখন প্রকাশ্যে কথা বলেছেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। এমনকি খালেদা-তারেককে বাদ দিয়ে বিএনপির হাল ধরতে সক্রিয় হচ্ছে একটি অংশ।

বিএনপির একটি গোপন সূত্র জানায়, তারেক নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় দল গোছানোর জন্য তৎপরতা শুরু করেছেন। তিনি চাইছেন, স্থায়ী কমিটিসহ সবাই তার পক্ষে কথা বলুক। এ জন্য পছন্দের লোকদের তিনি ধীরে ধীরে পদায়নের চেষ্টাও চালাচ্ছেন, যা দলের সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি সবস্তরে দৃশ্যমান হচ্ছে।

সূত্রটি আরো জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে তারেক অনুসারী বলে পরিচিত নেতারা বড় পদে যাওয়ার জন্য বেশ তৎপরতা শুরু করেছেন। অতি উৎসাহী দুয়েকজন নেতা মহাসচিব হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপও শুরু করেছেন।

অন্যদিকে দলের বড় একটি অংশ এ কারণে শঙ্কিত। তারা ভাবছেন তারেক পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারলে বিএনপিতে তাদের ভবিষ্যৎ নেই এবং দল হিসেবে বিএনপি বিলীন হয়ে যাবে। তাই বড় এই অংশটি চাইছেন, সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব দ্বারা দলের হাল ধরতে।

এদিকে ২০১৮ সালের নির্বাচনে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাইরে বিএনপির দু’একজন সিনিয়র নেতাকে দলের হাল ধরার পরামর্শ দিয়েছিল বলে জানায় দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্র।

এমন সমঝোতা বা প্রস্তাবে ক্ষমতায় যাওয়া অথবা শক্তিশালী বিরোধীদল হিসেবে সংসদে যাওয়ার মতো আসন দেওয়ার প্রস্তাব ছিল বলে জানায় সূত্রটি।

কিন্তু এক-এগারোর কথা বিবেচনায় রেখে সিনিয়র নেতারা খালেদা ও তারেকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে রাজি না হওয়ায় নির্বাচনী ফলাফলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটে বিএনপির।

সেই ভুল পুনরায় না করতে এরই মধ্যেই বিএনপির এই অংশটি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পর্যায়ে যোগাযোগ শুরু করেছে বলে সূত্রের বরাতে জানা গেছে।

জানা গেছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে এই কাজটি করছেন। এখন অপেক্ষা শুধু সবুজ সংকেতের।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক সচেতনরা মনে করেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান- এই পরিবারবৃত্তের মধ্যে আবদ্ধ থাকলে রাজনীতি বা ক্ষমতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে বিএনপি নাও পৌঁছতে পারে।

তারা বলেন, ক্ষমতায় থাকতে তারেক সমর্থকদের ভূমিকায় বিভিন্ন মহল ক্ষুব্ধ ছিল। সেই অবস্থার আজও পরিবর্তন হয়নি। তা ছাড়া এই পরিবারতন্ত্র চলতে থাকলে একসময় বিএনপির সিনিয়র নেতারাও রাজনীতির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন এবং বিএনপির ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হবে না।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর