সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চলুন ঘুরি, কবিগুরুর শ্বশুরবাড়ি

প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০২২ ২১ ০৯ ০২  

চলুন-ঘুরি-কবিগুরুর-শ্বশুরবাড়ি

চলুন-ঘুরি-কবিগুরুর-শ্বশুরবাড়ি

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত স্থান দক্ষিণডিহি। ফুল, ফল আর বিচিত্র গাছ-গাছালিতে ঠাসা শান্তগ্রাম দক্ষিণডিহি। খুলনা শহর থেকে ১৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ফুলতলা উপজেলা। উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গেলে দক্ষিণডিহি গ্রাম। গ্রামের ঠিক মধ্যখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য একটি দোতলা ভবন। এটাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুর বাড়ি।

দক্ষিণডিহি গ্রামের প্রবেশ রাস্তার দুই পাশে দেখা যাবে সবুজ দেবদারু, সেগুন, শিরিশ, মেহগনি গাছের সারি। এই গাছেরাই আপনাকে অভিনন্দন জানাবে। সর্পিল রাস্তায় কিছুটা এগিয়ে গেলে জমিদারবাড়ির বিশাল প্রাঙ্গণ। দক্ষিণডিহির  এই বাড়িটি  সংস্কৃতিসেবীদের কাছে ‘দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র কমপ্লেক্স’ নামে স্বীকৃত। 

রবীন্দ্র কমপ্লেক্সে পৌঁছালেই প্রথমে দেখা যানে মনোরম এক দোতলাবাড়ি। কমপ্লেক্স প্রবেশের আগে টিকেট কাটতে হবে। কমপ্লেক্স প্রবেশ করে প্রথমেই দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মৃণালিনী ঠাকুরের ভাস্কর্য। দোতলা বাড়ি জুড়েই আছে রবি ঠাকুরের বিভিন্ন সময়ে ধারণকৃত ছবি এবং কবির সাহিত্যকর্মের হাতে লেখা অনুলিপি। দেখা যাবে কবি গুরুর ১২ বছর বয়সের ছবি। তার হাতে লেখা গীতাঞ্জলি, কবির আঁকা ছবিসহ হরেক কিছু। 

 কবি গুরুর ছবি।

বাড়ির সিঁড়ির কারুকার্য মনোমুগ্ধকর। রয়েছে ছোট একটা লাইব্রেরি। তবে এই রবীন্দ্র কমপ্লেক্স ভ্রমণের আদর্শ সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম অথবা মৃত্যুদিন। তখন কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে বিশাল আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে কবিভক্তের সমাগম হয় এই সময়। 

আর একটা মজার বিষয় মৃণালিনী দেবীর প্রকৃত নাম কিন্তু মৃণালিনী দেবী ছিল না। তার নাম ছিল ভবতারিণী দেবী ওরফে পদ্ম ওরফে ফুলি ওরফে ফেলি। ভবতারিণীর বয়স যখন ১১ বছর তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর ঠাকুর পরিবারে রীতি অনুযায়ী নাম রাখা হয় মৃণালিনী দেবী।

যেভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে বিমান রেল কিংবা সড়ক পথে যেতে পারেন খুলনা। তবে আকাশ পথে যেতে হলে প্রথমে আপনাকে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যেতে হবে যশোর। পরবর্তী সময়ে বাস কিংবা রেলে করে পৌঁছে যাবেন খুলনা। এ জন্য আপনাকে গুনতে হবে প্রায় চার হাজার টাকা। তবে ট্রেনে চেপে সরাসরি খুলনা চলে যেতে পারেন । সড়ক পথেও আপনি যেতে পারেন।

 দেয়ালে কবি গুরুর ছবি।

যা যা খাবেন

ভোজন রসিকদের জন্য রয়েছে সুখবর। রবীন্দ্র কমপ্লেক্সের একেবারেই কাছে রয়েছে বিখ্যাত বেজেরডাঙ্গা মুসলিম হোটেল। এখানকার চুই ঝাল দিয়ে গরুর মাংস এবং খাশির মাংস অত্যন্ত বিখ্যাত। এই মাংসের স্বাদ না নিলে ভ্রমণ অপূর্ণ রয়ে যাবে।  খুলনার পানি লবণাক্ত। যদি লবণ পানিতে কারো সমস্যা থাকে তবে মিনারেল ওয়াটার কিনে খেতে পারেন। 

থাকা 

দক্ষিণডিহি গ্রাম অথবা ফুলতলা উপজেলা রাত্রিযাপনের সুব্যবস্থা নেই। রাত্রিযাপনের জন্য চলে আসতে হবে খুলনা শহরে। খুলনা শহরে রয়েছে বিভিন্ন মানের হোটেল।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর