সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঘুরতে চলুন বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র উপকূলে

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২২ ১৩ ০১ ০১  

ঘুরতে-চলুন-বাঁশবাড়িয়া-সমুদ্র-উপকূলে

ঘুরতে-চলুন-বাঁশবাড়িয়া-সমুদ্র-উপকূলে

চট্টগ্রাম শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার উত্তরে একটি ছোট্ট বাজারের নাম বাঁশবাড়িয়া। বাজারের মধ্য দিয়ে একটি সরু পিচঢালা পথে এগিয়েছে সমুদ্র উপকূলে। বাজার থেকে মাত্র ১৫ মিনিটে সেই পথে আগালেই মিলবে সমুদ্রের দেখা। এই সৈকতের মূল আকর্ষণ হলো, প্রায় আধা কিলোমিটারের বেশি সমুদ্রের ভেতর হেঁটে যেতে পারবেন আপনি। আর সঙ্গে পাবেন প্রকৃতির অপার স্নেহ।

বাঁশবাড়িয়া যাওয়ার পথটা অসাধারণ। গাছের ফাঁকে ফাঁকে সূর্য মামা খেলা করেন ওখানে। ওপরে খোলা আকাশ, পাশে খোলা জায়গা, একটু সামনে এগিয়ে গেলে বিশাল সমুদ্র।

ঝাউ বাগানের সারি সারি ঝাউগাছ ও নতুন জেগে ওঠা বিশাল বালির মাঠ, সব মিলিয়ে এ এক অপূর্ব রূপ। হাতের ডান দিক দিয়ে একটু সামনে এগিয়ে যাওয়ার পর দেখা পাবেন বাঁশের তৈরি ব্রিজের। ব্রিজের ওপর দিয়ে হেঁটে একদম শেষ প্রান্তে গেলে আপনার মনে হবে এই যেন সমুদ্রের ভেতরে প্রবেশ করলাম। একটু পর পর ঢেউ আছড়ে এসে পড়বে আপনার পায়ে। নিজেকে মনে হবে সমুদ্রের বুকের ওপর দাঁড়িয়ে আছি।

এ ব্রিজটা কিন্তু ব্যক্তিমালিকানাধীন, এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির মালিকানায় নির্মিত, যা একান্তই সন্দ্বীপবাসীর চলাচলের জন্য। ব্রিজটা প্লাস্টিকের, কারণ সমুদ্রের ওপর করা। আর লবণাক্ত পানি লোহা বা স্টিল তাড়াতাড়ি ক্ষয় করে ফেলে, তাই প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি।

আপনি চাইলে স্পিডবোটে করে জনপ্রতি ৪০০ টাকা (আপডাউন) সন্দ্বীপ ঘুরে আসতে পারেন। ২০ মিনিট মতো সময় লাগে। তবে বলে রাখা ভালো, বাঁশবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত অবস্থিত ব্রিজটি মজবুত খুঁটি ছাড়া নির্মিত, যার কারণে সাবধানতা বজায় করা উচিত। অহেতুক বড় দল নিয়ে ব্রিজে না ওঠাই ভালো। যেহেতু কোনো বেষ্টনী নেই, সেহেতু জোয়ার-ভাটার সময় মেনে চলা উচিত।

যেভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে সীতাকুণ্ডে অথবা চট্টগ্রামের অলংকার থেকে সীতাকুণ্ড যাওয়ার যেকোনো বাস বা টেম্পোতে করে বাঁশবাড়িয়া নামতে হবে। ভাড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা। অলংকার থেকে চট্টগ্রাম হাইওয়ে ধরে ২৩ কিলোমিটার যেতে হবে। এটা বাড়বকুণ্ডের একটু আগে। বাঁশবাড়িয়া নামার পর সিএনজিতে করে আরো ২ দশমিক ৫ কিলোমিটার গেলে বেড়িবাঁধ পাওয়া যাবে। সিএনজি ভাড়া জনপ্রতি ২০ টাকা করে। চাইলে রিজার্ভও নেওয়া যায়। ওখানেই বাঁশবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর