সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১ |   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গোপনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭ ০৫ ০১  

গোপনে-নির্বাচনের-প্রস্তুতি-নিচ্ছে-জামায়াত

গোপনে-নির্বাচনের-প্রস্তুতি-নিচ্ছে-জামায়াত

নিবন্ধন হারিয়েও আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জামায়াত। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিনব এক কৌশল গ্রহণ করেছে। গোপনে ৩০০ আসনে প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত করার কাজ এরই মধ্যে শুরু করেছে দলটি।

জামায়াতের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিভিন্ন জেলায় জামায়াতের আমীরদের নেতৃত্বে এরই মধ্যে মনোনয়ন বাছাই কমিটি গঠনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই কমিটি জামায়াত কর্মীদের গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করছে। এই ভোটে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। এরই মধ্যে ২২টি আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সম্প্রতি জামায়াত জানিয়ে দিয়েছে, তারা বিএনপির সঙ্গে আর নেই। এই বক্তব্যের রাজনৈতিক তাৎপর্য কী, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে গবেষণা চলছে। অথচ জামায়াত গোপনে সারাদেশে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে।

আগস্ট মাসেই জামায়াত ৩০০ আসনের মনোনয়ন কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিটি জেলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫-৭ সদস্যের এই কমিটি জামায়াতের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকা তৈরি করবে। এই তালিকা জামাতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার কাছে পাঠানো হবে। মজলিশে শুরা তালিকাগুলো যাচাই-বাছাই করে সম্ভাব্য প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা পাঠাবে জেলা কমিটির কাছে। জেলা কমিটি তালিকা নিয়ে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে কে প্রার্থী হতে পারে তা চূড়ান্ত করবে। যিনি চূড়ান্ত প্রার্থী হবেন, তিনি মাঠে কাজ শুরু করবেন।

সূত্র বলছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করবে জামায়াত। এজন্য সমমনা ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ শুরু করেছে।

জানা গেছে, জামায়াত এখন রাজনৈতিক কৌশলের দুটি ধারা অব্যাহত রেখেছে। একটি হলো- শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তারা আবার বিএনপির সঙ্গে দরকষাকষি করবে। দ্বিতীয় কৌশল হলো- বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে তারা অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দল নিয়ে জোট গঠন করে নির্বাচন করবে।

ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যাদের সঙ্গে জামায়াত কথাবার্তা বলছে এর মধ্যে অন্তত তিনটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক আছে। শেষ পর্যন্ত তাদের প্রতীকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তবে ভিন্ন নামে নিবন্ধনের সুযোগ না পেলে তারা সারাদেশে স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে পারে বলেও নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর