বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১ |   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গণতন্ত্রকে যারা হত্যা করেছে, তারা আমাদের গণতন্ত্র শেখাচ্ছে: শেখ সেলিম

প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২২ ২০ ০৮ ০১  

গণতন্ত্রকে-যারা-হত্যা-করেছে-তারা-আমাদের-গণতন্ত্র-শেখাচ্ছে-শেখ-সেলিম

গণতন্ত্রকে-যারা-হত্যা-করেছে-তারা-আমাদের-গণতন্ত্র-শেখাচ্ছে-শেখ-সেলিম

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, গণতন্ত্রকে যারা হত্যা করেছে তারা এসে আমাদের গণতন্ত্র শেখাচ্ছে। এদেশে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্রের যদি কেউ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে সে হল জিয়াউর রহমান।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত কখনও গণতান্ত্রিক দল হতে পারে না, যাদের নেতা যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী; তাদের উত্তরসূরীরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে চায়। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন কখনোই বাস্তবায়ন হবে না। নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার নির্বাচিত হবে। ১৯৭০ সালে নির্বাচন থেকে ন্যাপ সরে গেছিল। বিএনপির অবস্থা ন্যাপের মতোই হবে; আর আওয়ামী লীগ ২০৪০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে।

সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের দ্য কিং অব চিটাগাং-এ চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ ফজলুল করিম সেলিম এসব কথা বলেন। 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, এদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন জিয়াউর রহমান। জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট। তার বাবা-মার কবর পাকিস্তানে। বেঁচে থাকলে তার ফাঁসি হতো। মৃত মানুষকে আসামি করা যায় না, এটা দেশের আইনে আছে। সে বেঁচে গেছে।

তিনি বলেন, ৭৫’ সালে মোস্তাক-জিয়া একটি নির্বাচিত সরকারকে ষড়যন্ত্র করে উৎখাত করে। জিয়াউর রহমান একজন কালপ্রিট। সে বঙ্গবন্ধুকে খুন করে তার হত্যার বিচার না হওয়ার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। ২২ হাজার ৫০০ যুদ্ধাপরাধী জেলে ছিল তাদের ছেড়ে দিয়েছে। তারা ও তাদের দল বিএনপি এখন বলে গণতন্ত্র, আইনের শাসনের কথা। তাদের মুখে এসব মানায় না।

বাংলাদেশের অর্থনীতির কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এশিয়ার মধ্যে অর্থনীতির দিক দিয়ে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশ কখনও শ্রীলংকা হবে না। দ্রব্যের দাম শুধু বাংলাদেশে বাড়েনি, সব দেশেই বেড়েছে। আমেরিকায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে।

শেখ সেলিম বলেন, যারা বলে এদেশ শ্রীলংকা হবে তারা এদেশের ভালো চায় না। আমাদের দেশ আমেরিকা, কানাডা, পাকিস্তানের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে। আমাদের পতন ঘটাতে অনেক পরিকল্পনা চলছে। সব পরিকল্পনা ধূলিসাৎ করে ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় আছি। তারা যত আমাদের টানবে আমরা তার ৪০ কদম এগিয়ে যাব।

বঙ্গবন্ধুকন্যা মচকে যাবে, কিন্তু ভেঙে যাবে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, এই সরকার যুদ্ধপরাধীর বিচার করেছে। একজন যুদ্ধপরাধী থাকলেও তার বিচার হবে। আওয়ামী লীগের আমলে পদ্মাসেতু হয়েছে। পদ্মাসেতু আমাদের দেশের প্রবৃদ্ধি ২শতাংশ বাড়াবে। মানুষের উন্নয়ন হবে। চট্টগ্রামে-কক্সবাজার রেললাইন, ফ্লাইওভার, টানেলসহ ১৫টি মেগাপ্রকল্প এই আমলেই হচ্ছে।

যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনিকে স্মরণ করে তিনি বলেন, মনি ভাইয়ের আদর্শকে নিয়ে যুবলীগ তার কার্যক্রম এগিয়ে নেবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন যুবলীগ পূরণ করবে। বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সৈনিক ছিল শেখ ফজলুল হক মনি। মনিকে ছাত্রলীগের সেক্রেটারি করে সারা বাংলাদেশের ছাত্রলীগকে উজ্জীবিত করা হয়েছিল।

চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল লতিফ, সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম, সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর