রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১ |   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আড়াই বছর পর ভুটান ভ্রমণের সুযোগ, গুনতে হবে বাড়তি খরচ

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩ ০১ ০২  

আড়াই-বছর-পর-ভুটান-ভ্রমণের-সুযোগ-গুনতে-হবে-বাড়তি-খরচ

আড়াই-বছর-পর-ভুটান-ভ্রমণের-সুযোগ-গুনতে-হবে-বাড়তি-খরচ

আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য দুয়ার খুলে দিলো ভুটান। শনিবার থেকেই পুনরায় ভুটানে ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন নিজেদের সীমান্ত বন্ধ রেখেছিল দেশটি। 

পর্যটন শুল্কের ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন ফি নামে একটি সংশোধন এনেছে ভুটান। গত তিন দশক ধরে টেকসই উন্নয়ন ফি ৬৫ ডলার রাখা হলেও এখন তা বাড়িয়ে দুইশ ডলারে উন্নীত করা হয়েছে। ফলে দেশটিতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এখন থেকে পর্যটকদের বাড়তি টাকা গুনতে হবে।

২০২০ সালের মার্চে পর্যটকদের জন্য দুয়ার বন্ধ করে দেয় ভুটান। করোনার প্রথম কেস শনাক্ত হওয়ার পরই দেশটির সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু দেশটির আয়ের অন্যতম উৎসই পর্যটন। তাই দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়তে হয়েছে ভুটানকে।

দেশটির জনসংখ্যা ৮ লাখের কিছু কম। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬১ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া মারা গেছে ২১ জন। ভুটানে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কম হলেও গত দুই বছর সীমান্ত বন্ধ থাকায় অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দেশে দারিদ্র্য বেড়েছে।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। ভুটান করোনার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে। শুরু হয় উপসর্গের ভিত্তিতে নমুনা পরীক্ষা। ওই বছরের ৬ মার্চ ভুটানে প্রথম আক্রান্তের খবর মেলে। সে সময় আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ৩০০ জনকে চিহ্নিত করে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। তাদের নেগেটিভ রিপোর্ট আসলেও পাঠানো হয় কোয়ারেন্টাইনে। নিয়ন্ত্রিত এমন পরিকল্পনার কারণে ছোট্ট দেশটি করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়।

ভুটানের প্রধান অর্থনীতি পর্যটন হওয়া সত্ত্বেও গত বছরের মার্চ থেকে কড়া হাতে বিদেশিদের আগমন বন্ধ রাখে ভুটান। প্রায় সব রেস্টুরেন্ট, শপিংমল, জিম বন্ধ করে দেওয়া হয়। মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। যারা বিদেশ থেকে এসেছিলেন, তাদের জন্য সরকারি খরচে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই যাতে সঙ্গে সঙ্গে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যাওয়া যায় সেই ব্যবস্থাও করা হয়। ভুটানে ১৪ থেকে ২১ দিনের কোয়রেন্টাইনও চালু করা হয়। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনাও কমেছে। একই সঙ্গে গণহারে পরীক্ষা চালু করে ভুটান।

এছাড়া করোনাকালে যাদের উপার্জন কমেছে, তাদের ভিটামিন ট্যাবলেটসহ ওষুধ, খাবার, পাঠানো থেকে শুরু করে সব ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। এর সুফলও পেয়েছে তারা।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর