মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |  আশ্বিন ৯ ১৪৩১ |   ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

অতীত কুর্কীতি ঢাকতেই গুজব ছড়াচ্ছে বিএনপি 

প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২২ ১৫ ০৩ ০২  

অতীত-কুর্কীতি-ঢাকতেই-গুজব-ছড়াচ্ছে-বিএনপি 

অতীত-কুর্কীতি-ঢাকতেই-গুজব-ছড়াচ্ছে-বিএনপি 

সর্বশেষ বিএনপির শাসনামল অর্থাৎ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায়। এ সময় টানা পাঁচ বছর দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।

বিএনপির ভাষ্যমতে বিষয়টা কাকতালীয়, এ সময় অন্য কোনো দেশ বাংলাদেশ থেকে বেশি দুর্নীতি করেনি। সে কারণেই বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন! অবশ্য বাস্তব চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তার দুই পুত্র তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর বিভিন্ন দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে বহির্বিশ্বে লজ্জাজনক এক পরিচিতি পায় বাংলাদেশ।

সেই বিএনপি-জামায়াত এখন শেখ হাসিনা আর তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্যের খেলায় মেতে উঠেছে। কারণ তার আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরোধীতা করাই তাদের একমাত্র কাজ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। তারা তাদের অতীত ঢাকতে চায়। মানুষের নজর থেকে তাদের অতীত মুছে ফেলার জন্য তারা নিয়মিত মিথ্যাচার করছে।

মিথ্যা ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি এবং তারেক পরিচালিত গুজব ফ্যাক্টরিগুলো।

চারদলীয় ঐক্যজোটের সময়ে বাংলাদেশে দুর্নীতি অনেকটা শিল্পের পর্যায়ে চলে যায়। বলা হতো, যে কোনো কাজে ‘তারেক ট্যাক্স’ দিতে হয়, না হলে কাজ হয় না।

খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করে সিমেন্স। বিভিন্ন অভিযোগ ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে মার্কিন জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট আরাফাত রহমান কোকোর কয়েকটি ব্যাংক হিসাব উল্লেখ করে ২০০৯ সালের ৮ জানুয়ারি সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের মামলা করে। এই ব্যাংক হিসাবগুলোতে ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গচ্ছিত ছিল। আরাফাত রহমান কোকো সিমেন্স এবং চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাছ থেকে তার অ্যাকাউন্টে ঘুষ হিসেবে নিয়েছিল ওই টাকা। মার্কিন বিচার বিভাগ কোকোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করার মামলা করেছিল।

মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে ঘুষ ও মানি লন্ডারিং নিয়ে তদন্ত করেছে এবং বাংলাদেশের আদালতে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন এফবিআইয়ের সাবেক বিশেষ প্রতিনিধি।

কানাডার কোম্পানি নাইকোকে অনৈতিকভাবে সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে একটি দামি গাড়ি উপহার পেয়েছিল, যার আর্থিক মূল্য ছিল কানাডিয়ান ডলারে ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৮৪ ডলার। নাইকো আরো ৫ হাজার কানাডিয়ান ডলার ঘুষ দিয়েছিল মোশাররফকে তার সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের জন্য। আর নাইকো এ কে এম মোশাররফ হোসাইনকে ওই ঘুষ দিয়েছিল এটা নিশ্চিত করতে যে, নাইকো বাংলাদেশ থেকে তাদের ঠিক করা দামে গ্যাস কিনতে পারবে, তা বিক্রি করতে পারবে এবং গ্যাসক্ষেত্রে বিস্ফোরণের কারণে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত জরিমানা আরো কমানো হবে।

জিয়াউর রহমানের নামে একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করে ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার হাতিয়ে নেয়। তারেক রহমান অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দেশের এতিমদের জন্য বিদেশি দাতা সংস্থা থেকে আসা বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে কন্ট্রাক্টর নিয়োগে ১৫৯ কোটি টাকা ঘুষ হিসেবে আদায় করেছে জিয়া পরিবার। জিয়া পরিবারের এগুলো দুর্নীতি সব প্রমাণিত। মিথ্যা বানোয়াট কিংবা গুজব নয়। এসব দুর্নীতির প্রমাণ জানার জন্য সরকারের নথির প্রয়োজন নেই, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে এক গোপন তারবার্তায় লিখেছিলেন- ‘তারেক রহমান বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির জন্য দায়ী যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে… সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান অত্যন্ত দুর্ধর্ষ ও ভয়ংকর এবং একটি দুর্নীতিপরায়ণ সরকার ও বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতার প্রতীক।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর