সৌদিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি গৃহকর্মী হত্যার বিচার শুরু
প্রকাশিত : ১২:০০ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ শুক্রবার
সৌদিতে-প্রথমবারের-মতো-বাংলাদেশি-গৃহকর্মী-হত্যার-বিচার-শুরু
পরিবারের হাল ধরতে বিদেশে পাড়ি জমানো নারী শ্রমিকের মৃত্যু কিংবা অত্যাচারের খবর নতুন নয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যে গত পাঁচ বছরে অন্তত ৫০০ নারী শ্রমিকের অপমৃত্যু হয়।
তবে বেশিরভাগ সময়ই এসব অপমৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত কিংবা বিচার পর্যন্ত গড়ায় না। তবে এবার প্রথমবারের মতো তদন্ত শেষে বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে সৌদি আরবে গৃহকর্মী আবিরন হত্যা মামলা।
এরই মধ্যে গ্রেফতার আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করেছেন দেশটির আদালত। একইসাথে মর্মান্তিক এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আর অভিযুক্ত সৌদি নাগরিককেও নেয়া হয়েছে জেল হাজতে। এদিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বলছে, বিচারের কাঠগড়ায় আনতে হবে এ দেশের অভিযুক্তদেরও।
আবিরনের পরিবারের অভিযোগ, লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা থেকে শুরু করে মামলা প্রভাবিত করতে দালালচক্র আর রিক্রটিং এজেন্সি লাশের ভূয়া নো অবজেকশন সার্টিফিকেটে মৃত্যু ও লাশ পৌছাবার তারিখ একদিনে দেখায়। অথচ আবিরন মারা যায় ২০১৯ সালে ২৪ মার্চ।
পরবর্তীতে ঘটনার তদন্ত করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সংস্থাটির মতে, সৌদিতে আবিরন হত্যার সাথে জড়িতরা আদালতে কাঠগড়ায় দাড়ালেও ধরা ছোয়ার বাহিরে এদেশের অভিযুক্তরা।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা আইনী প্রক্রিয়াকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। আদালতে দোষী প্রমানিত হলে শরীয়াহ আইন অনুযায়ী মৃত্যুদন্ড হতে পারে অভিযুক্তদের।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ২৪ মার্চ মৃত্যু হয় বাংলাদেশ গৃহকর্মী আবিরনের। শুরু হয় পুলিশের তদন্ত। অবশেষে অভিযুক্ত গৃহকর্তা সালেম হুদাইর ও তার স্ত্রী ও সন্তানের ঠাঁই হয় জেলহাজতে। জামিনের আবেদনও নামঞ্জুর করে আদালত।