সেন্টমার্টিন থেকে মিয়ানমার যাচ্ছিল পর্যটকবাহী জাহাজ, ৯৯৯-এ কল দিয়ে রক্ষা
প্রকাশিত : ০৩:৫৫ এএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার
সেন্টমার্টিন-থেকে-মিয়ানমার-যাচ্ছিল-পর্যটকবাহী-জাহাজ-৯৯৯-এ-কল-দিয়ে-রক্ষা
রোববার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে সেন্টমার্টিন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সেন্টমার্টিন থেকে রওনা হওয়ার ১৫ মিনিট পর জাহাজের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। ইঞ্জিন ঠিক করার নামে প্রায় তিন ঘণ্টা সাগরে ভাসিয়ে রাখা হয় জাহাজটি। বাতাসের কারণে জাহাজটি ধীরে ধীরে মিয়ানমারের সীমানায় ভেসে যাচ্ছে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পর্যটকরা। পরে কয়েকজন ৯৯৯-এ কল করে সহযোগিতা চাইলে কোস্ট গার্ড, পুলিশ ও নৌবাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় জাহাজটি সন্ধ্যায় তীরে আনা হয়।
পরিবার নিয়ে সেন্টমার্টিনে বেড়াতে গিয়েছিলেন টেকনাফ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ শাহীন। তিনি বলেন, এসটি ভাষা শহীদ সালাম জাহাজটি টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে রোববারই প্রথম যাত্রা করেছে। প্রথমদিনই এতগুলো পর্যটককে দুর্ভোগ পোহাতে হলো।
গাজীপুর থেকে আসা আবদুর রহমান বলেন, এ এক অকল্পনীয় অভিজ্ঞতা। বঙ্গোপসাগরে তিন ঘণ্টা ভেসে ছিলাম। ৯৯৯-এর সহযোগিতা না পেলে হয়তো আমরা মিয়ানমার চলে যেতাম। পর্যটনের উন্নয়নে সেন্টমার্টিন লক্কর ঝক্কর জাহাজ বন্ধ করা দরকার।
তিনি আরো বলেন, এসটি ভাষা শহীদ সালাম সেন্টমার্টিন যাওয়ার সময়ও অন্য জাহাজের চেয়ে এক ঘণ্টা দেরিতে সেন্টমার্টিন পৌঁছায়। জেটি ঘাটের চরম অব্যবস্থাপনার কারণে জাহাজ থেকে নামতে দেড় ঘণ্টা সময় লেগেছে। এসব অব্যবস্থাপনা দূর না করলে সেন্টমার্টিনে পর্যটকের সংখ্যা কমে যাবে।
এস টি ভাষা শহীদ সালাম জাহাজের আবাসিক সুপারভাইজার (টেকনিশিয়ান) মোহাম্মদ সাহেদ বলেন, মেশিনারির কোনো গ্যারান্টি নেই। এই ভালো, এই খারাপ। আমরা ইঞ্জিন চালু করতে চেষ্টার কমতি রাখিনি।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমদ বলেন, নৌবাহিনী, পুলিশ ও কোস্ট গার্ড যৌথভাবে ভাসমান জাহাজ থেকে পর্যটকদের তীরে ফেরানোর ব্যবস্থা করে। যাদের জরুরি প্রয়োজন তাদের স্পিডবোটে টেকনাফ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকিদের আবাসনের বিষয়টি দেখভাল করা হচ্ছে।