গ্রাম ভাসিয়ে ফণী-তাণ্ডব ওড়িশায়
মৃত অন্তত ২, বন্ধ টেলি যোগাযোগ
দৈনিক প্রভাতী
প্রকাশিত : ০২:১৪ পিএম, ৩ মে ২০১৯ শুক্রবার
গ্রাম ভাসিয়ে ফণী-তাণ্ডব ওড়িশায়
পূর্বাভাসের আগেই ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার গতিবেগে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ল ‘অতি শক্তিশালী প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ ফণী। আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছিল, বিকেল ৩টে নাগাদ ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে ফণী। কিন্তু তার আগেই সকাল ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ ১৯৫ কিলোমিটার বেগে ওড়িশার গোপালপুর এবং পুরীতে আছড়ে পড়ে।
গত তিন দিন উপগ্রহ চিত্রে গতিবিধির ওপর নজর রাখার পরে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বেলা ১২টা পর্যন্ত ওড়িশায় তাণ্ডব চালাবে ফণী। তারপর তটরেখা ধরে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে আসবে।
• ঝড়ের দাপটে বহু গাছ উপড়ে গিয়েছে ওড়িশায়। বিদ্যৎহীন ওড়িশার বিভিন্ন অঞ্চল। লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে উপকূলবর্তী বহু গ্রাম। জল জমে গিয়েছে, ভেঙে গিয়েছে বহু ঘর। ওড়িশার টেলিকম ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়েছে। বন্ধ আছে টেলিভিশন সম্প্রচার।
• পুরীর সাক্ষীগোপালে গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। মৃত্যু হয়েছে ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এক প্রৌঢ়ার।
• পশ্চিমবঙ্গের জারি হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা।
• পুরীর জগন্নাথ মন্দির সম্পূর্ণ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎহীন ওড়িশার পুরী, গোপালপুর-সব বিভিন্ন এলাকা।
• ফণীর গতিপথে ওড়িশার ১০ হাজার গ্রাম এবং ৫২টা শহর পড়বে।।
• ফণীর যাত্রাপথ থেকে ১১ লক্ষ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে ওড়িশা সরকার।
• পুরীতে ফণী আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের দিঘা, মন্দারমণি-সহ উপকূলবর্তী অঞ্চলে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়েছে তুমুল ঝড়বৃষ্টি। শঙ্করপুরে ভেঙে পড়ল হাইটেনশন বিদ্যুতের খুঁটি। ঘটনাস্থলে স্থানীয় বিধায়ক।
• বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ৪ হাজার ৮৫২ সাইক্লোন এবং বন্যা আশ্রয় গড়ে তোলা হয়েছে। আপাতত, ওই ১১ লক্ষ মানুষের ঠাঁই এই আশ্রয়গুলোই।
• জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার-এর হিসেব অনুযায়ী গত ২০ বছরে এই অঞ্চলের সব চেয়ে ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক ঝড়ে পরিণত হয়েছে ফণী। এর আগে ১৯৯৯-এ এই মাত্রায় পৌঁছনো সুপার সাইক্লোনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বিপুল।