১০০ ফুট উঁচু নতুন ঝরনার সন্ধান মিলল খাগড়াছড়িতে
প্রকাশিত : ০৪:৫৫ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০২০ সোমবার
১০০-ফুট-উঁচু-নতুন-ঝরনার-সন্ধান-মিলল-খাগড়াছড়িতে
‘তুয়ারি মাইরাং’ ঝরনার খবর কানে পৌঁছাতেই প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দীঘিনালায় হাজির হচ্ছেন অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় শত শত পর্যটক। তাদের নিরাপত্তা ও গাইড সুবিধা দিচ্ছে স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, লোকালয় থেকে পাহাড়ি পথে হেঁটে ঝরনায় পৌঁছাতে সময় লাগে এক ঘণ্টা। পাহাড় থেকে লতা বেয়ে নামতে হয় ঝিরিতে। ঝিরিতে আটকে থাকা শত বছরের পুরোনো বড় বড় পাথর ও ক্যাসকেড বেয়ে প্রায় ১০০ ফুট নিচে নামছে পানির স্রোত। উঁচু পাহাড় আর ঘন বনের কারণে ঝিরি পর্যন্ত সূর্যের আলো পৌঁছায় না। প্রায় ঘণ্টাখানেক অন্ধকার-পাহাড়ি পথে হাঁটার পর দেখা মেলে ‘তুয়ারি মাইরাং’ ঝরনার। পথে আরো কয়েকটি ছোট ঝরনা থাকলেও সেগুলোতে পানি খুব কম। এ কারণে ‘তুয়ারি মাইরাং’ ঝরনার প্রতি পর্যটকদের রয়েছে অন্যরকম আকর্ষণ।
ঢাকা থেকে ‘তুয়ারি মাইরাং’ দেখতে এসেছে ন্যাচার ট্র্যাভেলস বাংলাদেশ নামে একটি গ্রুপ। মারিয়া ,মুশফিকা ,শান্ত নামে গ্রুপের কয়েকজন সদস্য বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থেকে জীবন একঘেয়ে হয়ে পড়েছিল। ‘তুয়ারি মাইরাং’ ঝরনার সন্ধান পেয়ে আর দেরি করিনি। কয়েকজন মিলে চলে এসেছি। যারা অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন ‘তুয়ারি মাইরাং’ তাদের জন্য সেরা। এখানে আসার পথ অত্যন্ত রোমাঞ্চকর।
ন্যাচার ট্র্যাভেলস বাংলাদেশ-এর প্রধান ডা. মইনুল হাসান বলেন, ‘তুয়ারি মাইরাং’ ঝরনায় আসার পথটা বেশ কঠিন। কোথাও কোথাও ঝিরি ও ক্যাসকেড বেয়ে নিচে নামতে হয়। এ সময় সাবধানতা অবলম্বন না করলে বিপদ হতে পারে। পুরো পথে অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ পাওয়া যায়। কঠিন পথ পেরিয়ে ঝরনা দেখে মুগ্ধ হবে সবাই।
দীঘিনালার সাবেক ইউপি মেম্বার হতেন ত্রিপুরা জানান, ‘তুয়ারি মাইরাং’ নতুন ঝরনা। এখন পর্যটকদের কাছে খুব একটা পরিচিতি পায়নি। এখানে বেড়াতে আসা অধিকাংশই স্থানীয়। যাতায়াত ব্যবস্থা কিছুটা সহজ হলে এ ঝরনা দেশব্যাপী পরিচিতি পাবে। এখন যারা জেলার বাইরে থেকে আসছেন তাদের গাইড সুবিধা দিচ্ছে স্থানীয়রা।
দীঘিনালার ইউএনও মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, দীঘিনালায় তৈদুছড়া ঝরনা, বাদুড় গুহাসহ বেশকিছু পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। এবার সে তালিকায় নতুন যুক্ত হলো ‘তুয়ারি মাইরাং’। তবে দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে পর্যটকদের সেখানে যাতায়াতে অসুবিধা হয়। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের জন্য ‘তুয়ারি মাইরাং’ অন্যতম আর্কষণীয় স্থান হতে পারে। এ ঝরনার রক্ষণাবেক্ষণ ও যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।