সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নয় মিনিটে ৬ সন্তান প্রসব করে গিনেস বুকে যে নারী

প্রকাশিত : ০২:৫৭ এএম, ১১ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার

নয়-মিনিটে-৬-সন্তান-প্রসব-করে-গিনেস-বুকে-যে-নারী

নয়-মিনিটে-৬-সন্তান-প্রসব-করে-গিনেস-বুকে-যে-নারী

যমজ সন্তান প্রসব করার ঘটনা এই পৃথিবীতে নতুন কিছু নয়। বিশ্বের সব দেশেই এই ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ বলুন, পার্শ্ববর্তী দেশ বলুন, দূরবর্তী দেশ আমেরিকা- কানাডা বলুন সব দেশেই কিন্তু যমজ সন্তান জন্ম নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। পৃথিবীর সব দেশে দুই বা ততোধিক সন্তান প্রসবের ঘটনা কিন্তু একেবারে বিরল নয়। তারপরেও সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে রেকর্ড বুকে নাম লিখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক মার্কিন নারী। এখন প্রশ্ন হলো, পৃথিবীর সব দেশেতো যমজ সন্তান জন্মদানের ঘটনা ঘটেছে, তাহলে এই নারী আবার রেকর্ড গড়ল কী করে? সন্তান জন্মদানে কী এমনই বা ঘটেছে যাতে গিনেস বুকে তার নাম উঠে এসেছে। সে প্রশ্নের খুঁজে জানা গেলো, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের একটি সুত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এক মার্কিন নারী নয় মিনিটে ছয়টি শিশুর জন্ম দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের দ্য উইম্যান হসপিটালে এ শিশুগুলোর জন্ম দিয়েছেন তিনি। যা রীতিমতো অবাক করেছে বিশ্ববাসীকে। গেলো শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে ৪টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে তিনি এই ছয়টি শিশুর মা হন। আর যিনি এই ছয় সন্তান প্রসব করেছেন তার নাম থেলমা শিয়াকা। প্রসব সন্তানদের মধ্যে চারজন ছেলে ও দুই মেয়ে। মা ও তার ছয় সন্তান সবই এখন সুস্থ আছেন। তবে এই সুস্থ মা ও ছয় সন্তানকে দেখতে অনেকে হাসপাতালে সমবেতও হচ্ছেন। তবে তাদের কেউ ওই মা ও সন্তানদের দেখতে পারছেন না। কারণ তাদের হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। এদিকে, হাসপাতালের তরফে একটি ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, এখনো পর্যন্ত ছয়টি শিশুই সুস্থ রয়েছে। তবে তাদের প্রত্যেককেই অ্যাডভান্সড নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা শিশুগুলোর ওজনের কারণেই তাদের পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। দুটি মেয়ের নাম রেখেছেন জিনা ও জুরিয়েল। তবে চারটি পুত্র সন্তানের নাম এখনো ঠিক করা হয়নি। উইমেনস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছয় সন্তানের ওজন এক পাউন্ড ১২ আউন্স থেকে দুই পাউন্ড ১৪ আউন্সের মধ্যে। তাদের আরো কয়েক দিন তাদের প্রত্যেককে হাসপাতালে রাখা হবে। পৃথিবীতে সাড়ে ৪৭০ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র একজনের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে বলে জানান চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। এই নারীর ক্ষেত্রেও সে ঘটনা ঘটেছে। আর এই কারণে সে নারী গিনেস বুকে নিজের নাম লেখিয়েছেন। ডেইলি বাংলাদেশ/টিআরএইচ