সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আপনার মাথায়ও গজাতে পারে শিং! যে কারণে... 

প্রকাশিত : ০২:৫৭ এএম, ১১ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার

আপনার-মাথায়ও-গজাতে-পারে-শিং-যে-কারণে 

আপনার-মাথায়ও-গজাতে-পারে-শিং-যে-কারণে 

 মাথায় মাথায় একবার ঠোকা লাগলে নাকি শিং গজায়। তাই একবার ঠোকা লেগে গেলে আর একবার নিজেই ঠুকে নিতে হয়। এটাই ‘নিয়ম’! না হলেই মাথায় শিং গজাবে।  ছোট বেলায় এ কুসংষ্কারটি আমরা অনেকেই শুনেছি। অনেকে আবার ভুক্তোভুগী, স্কুল বা পাড়ার বন্ধু-বান্ধবদের বদৌলতে।  ছোটবেলার এই কথাগুলো মনে পড়লেই হাসি পায়। মানুষের মাথায় কী আবার শিং গজাতে পারে।  পারে; ২, ৩ বা ৫ ইঞ্চি শিং মানুষের মাথাতেও গজায়। এমন অনেক নজির রয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক- এক বিশেষ ধরনের চর্মরোগের প্রভাবে মানুষের শরীরেও গরু, ছাগল, হরিণের মতো শিং গজাতে দেখা যায়। চিকিৎসা  বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় ‘কটেনিয়াস হর্ন’। চিকিৎসকদের মতে, এটি এক ধরনের স্কিন টিউমার।   ‘কটেনিয়াস হর্ন’র কোনো নির্দিষ্ট কারণ বিজ্ঞানীরা এখনো উদ্ধার করতে পারেননি। তবে তাদের মতে, আমাদের শরীরে নখ, চুল গঠনকারী প্রটিন কেরাটিনের মাত্রাতিরিক্ত ক্ষরণের ফলে এই ‘কটেনিয়াস হর্ন’ তৈরি হয়। সূর্যের অতিরিক্ত বিকিরণের ফলে এই রোগ হয়। এছাড়া, আঁচিলের অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির ফলে ‘কটেনিয়াস হর্ন’ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনার কথাও বলেছেন তারা। মার্কিন গবেষকদের মতে, ‘কটেনিয়াস হর্ন’ আসলে এক ধরনের ত্বকের ক্যান্সার বা ক্যান্সারের পূর্ববর্তী ক্ষত। ত্বকের যে অংশে ‘কটেনিয়াস হর্ন’ গজায়, সেই অংশে জ্বালা বা যন্ত্রণা হতে পারে। মারাত্মক পরিস্থিতিতে রক্তক্ষরণ পর্যন্ত হতে পারে। কটেনিয়াস হর্নের এখনো তেমন কোনো চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি। শরীরের গজানো কটেনিয়াস হর্ন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলা হয়, নয়তো ওষুধের মাধ্যমে পুড়িয়ে কটেনিয়াস হর্নের বৃদ্ধির গতি কমানো হয়।  তবে কিছু ক্ষেত্রে কটেনিয়াস হর্নের চিকিত্সায় রেডিয়েশন (বিকিরণ) থেরাপি বা কেমোথেরাপিরও প্রয়োগ করা হয়। শুধু কপালে বা মাথায় নয়, কানে, ঘাড়ে, হাঁটু বা কনুইয়েও গজাতে পারে কটেনিয়াস হর্ন।  তবে সব সময়েই যে সেগুলো ২-৩ ইঞ্চি লম্বা হবে, তার কোনো মানে নেই। কটেনিয়াস হর্ন ৩-৪ সেন্টিমিটার লম্বাও হতে পারে। এটি শরীরে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। তাই খেয়াল রাখুন, সতর্ক থাকুন। আর নিজের শরীরে এমন কিছু লক্ষ্য করলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ডেইলি বাংলাদেশ/আরএজে