সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আবেগী চুমুতে হেভিওয়েট বক্সার কুপোকাত!

প্রকাশিত : ০২:৫৭ এএম, ১১ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার

আবেগী-চুমুতে-হেভিওয়েট-বক্সার-কুপোকাত

আবেগী-চুমুতে-হেভিওয়েট-বক্সার-কুপোকাত

চুমু খেয়েছিলেন লাইভ ইন্টারভিউয়ের সময়। এরপর সেই নারী সাংবাদিকও কোনো আপত্তি দেখাননি।  বুলগেরিয়ান হেভিওয়েট বক্সার কুবরত পুলেভের আচমকা চুম্বনের দৃশ্য আসলে ঘটনার সময় সেই সাংবাদিক তার পেশাদারিত্ব বজায় রেখেছিলেন; যে কারণে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি তিনি। সেই আচমকা চুম্বনের জন্য নির্বাসিত হলেন বুলগেরিয়ান হেভিওয়েট বক্সার কুবরত পুলেভ।  তাকে নির্বাসনে পাঠানোর কথা নিশ্চিত করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার বক্সিং চিফ। শুধু তাই নয়, ক্যালেফোর্নিয়া স্ট্রেট অ্যাথলেটিক কমিশনের সামনে হাজিরা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  ক্যালেফোর্নিয়া স্ট্রেট অ্যাথলেটিক কমিশন অর্থাৎ সিএসএসি জানিয়েছে, ‘ক্যালফোর্নিয়ার হয়ে বক্সিং রিংয়ে নামার আগে কুবরত পুলেভকে কমিশনের সামনে হাজির হতে হবে।’ রোমানিয়ার বোগদান দিনুর বিপক্ষে বাউট জিতে উঠে ভেগাস স্পোর্টস ডেলির নারী সাংবাদিক জেনিফার রাভালোকে সাক্ষাতকার দেন পুলভ। ওই নারী সাংবাদিক সাংবাদিকমহলে 'জেনি সুশি' নামে পরিচিত। সাক্ষাৎকারের শেষে ক্যামেরার ফ্রেম থেকে বেরিয়া যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে ওই নারী সাংবাদিককে জোরপূর্বক চুম্বন করেন বুলগেরিয়ান বক্সার। বিষয়টি জেনিফার হাসি মুখে মানিয়ে নিলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওটি ভাইরাল হতে বিশেষ সময় নেয়নি। জোর করে চুমু দেয়ার জন্য তারকা বক্সারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলছেন অনেকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিতর্কের মুখে পুলেভ নিজের কৃতকর্মের একটা সাফাই দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সরাসরি ক্ষমা না-চাইলেও টুইটারে অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে ঘটনার পিছনে যে অন্য গল্প লুকিয়ে রয়েছে, তা জানান দেওয়ার চেষ্টা করেন বুলগেরিয়ান বক্সার। নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে পুলেভ লেখেন, ‘আপনারা হয়ত একটি ভিডিও ক্লিপে দেখেছেন যে শনিবার রাতে আমি বাউট জিতে সাক্ষাৎকার দেয়ার পর এক নারী সাংবাদিককে চুমু দিয়েছি। ওই রিপোর্টার জেনি আসলে আমার একজন বন্ধু। সাক্ষাৎকার দেয়ার পর আমি এতটাই উচ্ছ্বসিত ছিলাম যে, ওকে চুমু দিয়ে বসি। সেই রাতেই আমার অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে পোস্ট ম্যাচ সেলিব্রেশনেও হাজির ছিল জেনি। ভিডিওতে দেখেছেন নিশ্চই, চুমু দেয়ার পরে আমাদের উভয়ের মুখেই হাসি ছিল এবং একে অপরকে ধন্যবাদও জানিয়েছি। এর বাইরে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।’ কিন্তু পুলেভের কথার উল্টোটাই বলেছেন রাভালো। তার ভাষায়, ‘পার্টিতে অনান্য বক্সারদের ইন্টারভিউ করার জন্য আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ভোরের দিকে পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন পুলেভ। ওখানেই ও আমাকে ইন্টারভিউ থেকে কিসিং দৃশ্য বাদ দিতে বলেন। কিন্তু আমি সেটা করিনি। কারণ আমি চাই লোকেরা দেখুক ও আমার সঙ্গে কী করেছে। এর জন্য ওই দায়ী। তাছাড়া ওর সঙ্গে আমার অনেকদিনের পরিচয়ও নয়। একদিন আগেই প্রথম কথা হয়েছে।’ পুরো ঘটনার কথা উল্লেখ করে এক বিবৃতি দিয়ে রাভালো আরো জানান, ‘ইন্টারভিউ চলার সময়ই পুলেভ জড়িয়ে ধরে আমার ঠোঁটে চুমু খান। আমি এতটাই মর্মাহত হয়েছিলাম যে, কী করব ভেবে পাইনি। এর পর পাশে টেবলে গিয়ে আমি যখন আমার ব্যাকপ্যাক খুলে রাখছিলাম, তখনই ও আমার পিছনে গিয়ে দুহাত দিয়ে নিতম্ব টিপে ধরে। তার পর কোনো কিছু না-বলে হাসতে হাসতে বেড়িয়ে যায়। এর পরই আমি পুলেভকে তার অপেশাদার কাজকর্মের জন্য শিক্ষা দেয়ার জন্য তৎপর হই। যাতে ও ভবিষ্যতে কোনো নারী সাংবাদিকের সঙ্গে যেন এমন ঘটনা না-ঘটে।’ ডেইলি বাংলাদেশ/আরএজে