পুলিশের বাধা, ঢাকায় অরুন্ধতীর অনুষ্ঠানের ভেন্যু বদল
দৈনিক প্রভাতী
প্রকাশিত : ০৩:১৫ এএম, ২৩ মার্চ ২০১৯ শনিবার
বুকারজয়ী ভারতীয় লেখক, অধিকারকর্মী অরুন্ধতী রায়কে নিয়ে ঢাকায় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের ভেন্যু পুলিশের বাধার কারণে বদলাতে বাধ্য হল আয়োজক কর্তৃপক্ষ। ছবিমেলার আয়োজনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফার্মগেইটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘আটমোস্ট এভরিথিং’ শিরোনামে ওই অনুষ্ঠানে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল অরুন্ধতীর।
কিন্তু ঢাকা মহানগর পুলিশ ‘অনিবার্য কারণ’ দেখিয়ে সোমবার রাতে ওই অনুষ্ঠানের অনুমতি প্রত্যাহারের কথা জানায়। এরপর আয়োজকরা প্রথমে ওই অনুষ্ঠান স্থগিতের কথা বললেও পরে অন্য একটি ভেন্যুতে এ আয়োজন করার ঘোষণা দেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ছবিমেলার ওয়েবসাইটে জানানো হয়, সন্ধ্যা ৬টায় ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে অরুন্ধতী রায়কে নিয়ে অনুষ্ঠানটি হবে। যারা নিবন্ধন করেছিলেন, তারা মাইডাস সেন্টারে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন।
দৃক গ্যালারির আয়োজনে ঢাকায় চলমান আলোকচিত্র বিষয়ক আয়োজন ছবিমেলায় যোগ দিতে গত ৩ মার্চ ঢাকা পৌঁছান অরুন্ধতী রায়। কিন্তু সোমবার রাতে পুলিশের আকস্মিক সিদ্ধান্ত বদলের কারণে অনুষ্ঠানটি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
দৃক গ্যালারির ব্যবস্থাপক এস এম রেজাউর রহমান বলেন, ‘‘কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠান করার জন্য গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তারা তেজগাঁ থানা পুলিশের অনুমতি পাই। সে অনুযায়ী সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু গতরাতে তেজগাঁওয়ের উপ পুলিশ কমিশনার আমাদের জানান, অনিবার্য কারণবশত অনুষ্ঠানটি আমরা করতে পারব না।”
এ বিষয়ে জানতে চাইল তেজগাঁও থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম সকালে বলেন, “অনিবার্যবশত কারণবশত অনুষ্ঠানটা বন্ধ হয়েছে। তাদের অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না, এরকম একটা নির্দেশনা আছে।”
‘দ্য গড অব স্মল থিংস’ উপন্যাসের লেখক অরুন্ধতী রায়ের বাবার ভিটা বাংলাদেশের বরিশালে। স্থাপত্যের ছাত্রী অরুন্ধতী প্রথমে ঝুঁকেছিলেন চলচ্চিত্রে।
১৯৮৫ সালে ‘মাসি সাহিব’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। পরে চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করেন। তার চিত্রনাট্য ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পায়।
প্রথম উপন্যাস ‘দ্য গড অব স্মল থিংস’ এর জন্য ১৯৯৭ সালে ম্যান বুকার পান অরুন্ধতী। তার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘দ্য মিনিস্ট্রি অব দ্য আটমোস্ট হ্যাপিনেস’ প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালে।
কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থানের কট্টর সমালোচক অরুন্ধতী মাওবাদী আন্দোলন নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের বড় একটি অংশের সঙ্গে বাহাসে জড়িয়ে ‘ভারতবিরোধী’ আখ্যা পান।
গতবছর বাংলাদেশে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে দৃক গ্যালারির কর্ণধার আলোকচিত্রী শহিদুল আলম গ্রেপ্তার হলে তার মুক্তির দাবিতে খোলা চিঠি লিখেছিলেন তিনি।
-সূত্র: বিডিনিউজ