রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লিডিং ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

দৈনিক প্রভাতী

প্রকাশিত : ০২:০০ এএম, ২৩ মার্চ ২০১৯ শনিবার

উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন।

আজ বুধবার দক্ষিন সুরমার কামাল বাজারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে তৃতীয় সমাবর্তন সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এতে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির।

এবারের সমাবর্তনে মোট ৪ হাজার ৭৩৪ জন শিক্ষার্থীদেরকে ডিগ্রী প্রদান করা হয়। যার মধ্যে ৩ হাজার ২০৭ জন স্নাতক এবং ১ হাজার ৫২৭ জনকে স্নাতোকোত্তর পর্যায়ে পড়াশুনা সম্পন্ন করেছেন। সমাবর্তনে চ্যান্সলর গোল্ড মেডেল পান বিবিএ প্রোগ্রামের গ্রাজুয়েট মউপিয়া সেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক তাহরিমা চৌধুরী জান্নাতের উপস্থাপনায় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন লিডিং ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ রাগীব আলী এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী। সমাবর্তন মার্শাল হিসেবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মেজর (অব) মো. শাহ আলম পিএসসি।

সমাবর্তন বক্তা অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে আগত উচ্চশিক্ষায় উৎসাহী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সব ধরনের জ্ঞানচর্চার উন্মুক্ত ক্ষেত্র। মনের বদ্ধ দুয়ার খুলে বিশ্বকে জানার, গবেষণা ও উদ্ভাবনের সম্ভাবনার আলো দেখানোর প্রকৃত জায়গা হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের কঠোর অধ্যবসায় ও নিষ্ঠার মাধ্যমে অর্জিত ডিগ্রিকে। আজ যারা এই ৩য় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত, তাদের জন্য এই অনুষ্ঠান অত্যন্ত মূল্যবান, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গ্র্যাজুয়েটদেরকে ভবিষৎ দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হবার আহবান জানিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আজ আপনাদের স্বীকৃতির দিন। এই দিন আপনাদের জন্য বড়োই আনন্দের দিন, গৌরবের দিন। আপনাদের এই আনন্দ আজ আমাদেরকেও স্পর্শ করছে। আজ আপনারা যে এই স্বীকৃতি পাচ্ছেন, তা আপনাদের দীর্ঘদিনের পরিশ্রম ও অপেক্ষার ফল।’ সমাবর্তন যেকোন স্নাতকের জীবনে একটি স্মরণীয় অধ্যায় তৈরি করে দেয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই অধ্যায় তৈরি হবে নানা ঘটনা ও মুহূর্তের সমন্বয়ে। আমরা এই অধ্যায়ের অংশ হিসেবে এখানে জড়ো হয়েছি। আমাদের সকলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ যে মুখরিত হয়ে উঠেছে, তা শুধু আপনাদের জন্য নয়, আমাদের জন্যও স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে আমি মনে করি।’