পঞ্চগড় থেকে স্পষ্ট দেখা দিচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা
প্রকাশিত : ০৯:৫৫ এএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
পঞ্চগড়-থেকে-স্পষ্ট-দেখা-দিচ্ছে-কাঞ্চনজঙ্ঘা
বৃহস্পতিবার সকালেও সূর্যোদয়ের সঙ্গে দেখা গেল, কাঞ্চনজঙ্ঘার নয়নাভিরাম নৈসর্গিক রূপ। যা সূর্যের তেজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরো বেশি স্পষ্ট দেখা যায়। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা, তারপর ক্রমান্বয়ে ঝাপসা হয়ে হারিয়ে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। আবার বিকেলে সূর্যকিরণ যখন তির্যকভাবে বরফাচ্ছাদিত পাহাড়ে পড়ে তখন আবারো চোখে ধরা দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা।
গতকয়েক দিন থেকে উঁকি দিচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘার নয়নাভিরাম নৈসর্গিক রূপ। ফলে নীলাকাশে তুষার শুভ্রের মতো ভেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে ছুটে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন জেলার মানুষ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাস পর্যন্ত শীতের আগমনী বার্তার পূর্বে আকাশে ভেসে ওঠে হিমালয় পর্বত ও কাঞ্চনজঙ্ঘা। জানা যায়, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া-বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে নেপালের দূরত্ব ৬১ কিলোমিটার, ভূটানের দূরত্ব ৬৪ কিলোমিটার, চীনের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার, ভারতের দার্জিলিংয়ের দূরত্ব ৫৮ এবং শিলিগুড়ির দূরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার। অন্যদিকে হিমালয়ের এভারেস্ট শৃঙ্গের দূরত্ব ৭৫ ও কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার।
ঢাকা থেকে আসা শিক্ষার্থী ফরহাদুজ্জামান শেখর জানান, তেঁতুলিয়া থেকে হিমালয় কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। তাই কয়েক বন্ধু মিলে তেঁতুলিয়ায় এসেছি। খালি চোখে হিমালয় আর কাঞ্চনজঙ্ঘার অসাধারণ রূপ দেখেছি। আমি আজীবন এই দৃশ্য ভুলতে পারবো না। তেঁতুলিয়া বেড়াতে আসা সার্থক হয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা মোটর মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে বাংলাবান্ধা এবং বাংলাবান্ধা থেকে ঢাকা পর্যন্ত হানিফ, শ্যামলী বা নাবিল পরিবহনের এসি/ননএসি বাস চলাচল করছে। এ ছাড়া ঢাকা থেকে বিমানে সৈয়দপুর পর্যন্ত আসতে পারেন। সৈয়দপুর থেকে বাস, মাইক্রোবাস বা প্রাইভেট কারে করে যেতে পারেন বাংলাবান্ধা পর্যন্ত। উপভোগ করতে পারেন পঞ্চগড়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য।