রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দুয়ারে হোলি উৎসব

দৈনিক প্রভাতী

প্রকাশিত : ১১:৫৫ এএম, ২ মার্চ ২০১৯ শনিবার

ফাল্গুনের শেষে রঙে মাতে শহরবাসী। আনন্দ আর উৎসবে পরস্পরকে রঙে রাঙানো এ অঞ্চলের সংস্কৃতিতে আগেও দেখা গেছে। বিয়ে বাড়িতে বা খেলার জয়ে রং ছিঁটানো ছিলো উৎসবের বহিঃপ্রকাশ, যা এখন আর খুব বেশি দেখা যায় না। তাই, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এ উৎসবটিকে কেন্দ্র করে রং নিয়ে খেলার সুযোগকে বেশ ঘটা করেই গ্রহণ করেছে তরুণ-তরুণীরা। যার মধ্যে দেখা যায়, এক সার্বজনীন উৎসবের রূপ।

হোলি উৎসব এর সঙ্গে দোলযাত্রা উৎসবটি সম্পর্কযুক্ত। এই উৎসবের অপর নাম বসন্তোৎসব। ফাগুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে (প্রচলিত পঞ্জিকা অনুসারেঃ ১৪ তম রাতের পরবর্তী দিন) দোলযাত্রা নামক অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে হোলি খেলা হয়ে উঠেছে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মনের রঙে সকলকে রাঙিয়ে দেওয়ার বাসন্তী উৎসব। সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত এ উৎসব চলবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা পরস্পরকে রংয়ের আবির মাখিয়ে এ উৎসব উদযাপন করবেন। পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজার, তাঁতীবাজার বেশ কিছু এলাকায় হোলি উৎসব বেশ ঘটা করে পালিত হয়। এবারের হোলি উৎসব শুরু হবে ২০ মে, শেষ তার পরদিনই।

উত্তর ভারতে হোলি উৎসবটি বাংলার দোলযাত্রার পরদিন পালিত হয়। হোলি নামটা এসেছে ‘হোলিকা’ থেকে। দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপুর বোন হোলিকা। প্রচণ্ড নিষ্ঠুর ছিল দুই ভাইবোন। হিরণ্যকশিপু অপরাজেয় থাকার বর পেয়েছিল। তাই কোনো দেবতাকেই মানত না। বলতো দেবতা নয়, পুজো তাকেই করতে হবে। কিন্তু হিরণ্যকশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ ছিলেন বিষ্ণুর ভক্ত। সে তার বাবার আদেশ মানতে রাজি নয়। হিরণ্যকশিপু ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল। নানা ভাবে ছেলেকে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করল, কিন্তু ফল হল না। শেষে প্রহ্লাদকে ভুলিয়েভালিয়ে জ্বলন্ত চিতায় বসল হোলিকা। নিজে গায়ে দিল অগ্নি-নিরোধক শাল। কিন্তু আগুন জ্বলে উঠতেই সেই শাল উড়ে গিয়ে প্রহ্লাদকে ঢেকে ফেলল। অগ্নিদগ্ধ হল হোলিকা। বিষ্ণুর আগমন ঘটল। তার হাতে নিহত হল হিরণ্যকশিপু। ওই আগুন হল অশুভের বিরুদ্ধে শুভের জয়ের প্রতীক। হোলিকা দগ্ধ হওয়ার পরের দিন পালিত হয় হোলি।