বৃষ্টিতে শাড়ি
প্রকাশিত : ০১:৩৮ পিএম, ১৪ জুলাই ২০১৯ রোববার
বৃষ্টিতে-শাড়ি
নিউ মার্কেটের শাড়ি বিক্রেতা মাসুম আহমেদ জানান, বর্ষার সময়টাতে ক্রেতারা জর্জেট কাপড়ের শাড়িই বেশি কিনে থাকেন। কারণ, বৃষ্টিতে ভিজলে জর্জেট কাপড় তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। এসব কাপড়ে কোনো ধরনের দাগ পড়ে না, যেটা অন্য শাড়িতে থাকতে পারে। আবার পরার আগে ইস্ত্রি করার ঝামেলাও নেই। রঙ নিলে বললে, সবই তো চলছে। নীল, সাদা ও কালোর শাড়ি অন্য রঙের চেয়ে একটু বেশি চলছে, এটাই।
যাদের জর্জেট শাড়ি পছন্দ না তারা সিল্ক বা হাফ সিল্ক বেছে নিতে পারেন। অ্যান্ডি কটন শাড়িও সময়োপযোগী। এ ধরনের শাড়ি এমনিতেই পরিপাটি আর সামলানো সহজ। কাদা পানি লাগলেও ধোয়া সহজ। এই সময়ে মণিপুরী তাঁতের শাড়িও পরা যেতে পারে। বর্ষার উপযোগী শাড়িতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাঁতের ডিজাইনের সঙ্গে মণিপুরী মোটিভের পাড়। এই পোশাকগুলোতে ব্যবহার করা হয় মোটা সুতোর বুনন।
রঙের ক্ষেত্রে বর্ষার শাড়ির জন্য বেছে নিতে পারেন উজ্জ্বল রঙগুলো। মেজেন্টা, বেগুনি, গাঢ় সবুজ বা কলাপাতা সবুজ, নীল, লাল, হলুদ রংগুলো দারুণ লাগবে। অন্যান্য রঙের ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন ব্রাউন, নেভি ব্লু, রেড, মেরুন, অলিভ।
ফ্যাশন হাউস ড্রেসিডেলের স্বত্বাধিকারী মায়া রহমান জানান, বর্ষায় জর্জেট শাড়ির সঙ্গে সুতি প্রিন্টের ব্লাউজ পরা যায়। হাফ হাতা কিংবা হাতা কাটা ব্লাউজের নকশাটি ফুলেল মোটিফের হলে চলতি ঋতুর সঙ্গে ভালো মানাবে। তিনি বললেন, এখন চলছে গোল কিংবা বোট গলার ব্লাউজ। একরঙা ব্লাউজও পরা যেতে পারে শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে। বর্ষার জর্জেট শাড়ির নকশায় এখন জনপ্রিয় ফুলেল ছাপা। বাদলা দিনে উজ্জ্বল রঙের শাড়িই বেশি মানাবে।
দৈনিক প্রভাতী/এনকে