রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেয়ালখুশিতে ফার্মেসি ব্যবসা

প্রকাশিত : ০৬:১৫ পিএম, ২২ জুন ২০১৯ শনিবার

খেয়ালখুশিতে-ফার্মেসি-ব্যবসা

খেয়ালখুশিতে-ফার্মেসি-ব্যবসা

খুলনায় ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই অনেকে ফার্মেসি দিয়ে ব্যবসা করছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কেবল ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে এসব ব্যবসা চালাচ্ছে তারা।

এসব ফার্মেসিতে আমদানি করা নিষিদ্ধ ওষুধসহ নকল ও নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি হয়। ফলে নকল ওষুধ কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে মানুষ।

এরইমধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপরাধে শহরের হেরাজ মার্কেটের হাসান ফার্মেসিকে লাখ টাকা জরিমানাসহ কারাদণ্ড দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া বিভিন্ন ওষুধের দোকানেও অভিযান চালিয়ে জরিমারা করা হয়। এরপরও থামছে না অসাধু ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফার্মাসিস্ট কোর্স জটিলতায় জেলায় ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসীর সংখ্যা বাড়ছে। নতুন ড্রাগ লাইসেন্স করতে কিংবা পুরাতন ড্রাগ লাইসেন্স নবায়ন করতে গেলে ফার্মাসিস্ট কোর্স বাধ্যতামূলক করায় এ জটিলতা তৈরি হয়েছে।

জেলায় ড্রাগ লাইসেন্সধারী দোকানের সংখ্যা ৩ হাজার ৬শ। এরইমধ্যে ৬শ ফার্মেসির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অথচ ফার্মাসিস্ট সার্টিফিকেটের অভাবে তারা নবায়ন করতে পারছে না। খুলনায় প্রতিনিয়ত নতুন ওষুধের দোকান বাড়ছে। তবে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও এসব দোকানি সহজেই লাইসেন্স করতে পারছে না।

লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকানের সংখ্যা চারশ। তবে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির হিসেবে এ সংখ্যা আরো বেশি। ফার্মেসি কাউন্সিলের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যমতে, গত এক বছর ধরে ফার্মাসিস্ট কোর্স বন্ধ রয়েছে। খুলনায় ২শ জনের একটি কোর্সের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করে পরীক্ষার অপেক্ষায় রয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগরীর কয়েকজন ওষুধ ব্যবসায়ী বলেন, আমরা ড্রাগ লাইসেন্স করতে আগ্রহী। কিন্তু ফার্মাসিস্ট ছাড়া ওষুধ প্রশাসন থেকে কোনো নতুন লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে না। এমনকি নবায়ন করতেও ফার্মাসিস্ট কোর্স ছাড়া সম্ভব নয়। পাশাপাশি ড্রাগ লাইসেন্স নবায়ন করতে গেলে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কর্তৃপক্ষ ট্রেড লাইসেন্সের কপি চায়। সেক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে গেলে আরো হয়রানি হতে হয়। সব মিলে একটি জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

জেলা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ বলেন, ফার্মাসিস্ট কোর্স বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল দেখে, কিন্তু মনিটরিং করি আমরা। ড্রাগ লাইসেন্স করতে হলে ফার্মাসিস্ট কোর্স সার্টিফিকেটও লাগে। লাইসেন্সবিহীন দোকান চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের অনেকেরই আগে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা আছে। তবে যারা লাইসেন্স না নিয়ে ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ ক্যামিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, ফার্মেসি কাউন্সিল নতুন নিয়ম করেছে। এতে যাদের ড্রাগ লাইসেন্স আছে কিন্তু ফার্মাসিস্ট কোর্স নেই তাদের তা করতে হবে। অন্যথায় নতুন ড্রাগ লাইসেন্স করতে পারবে না, পুরাতন লাইসেন্সও নবায়ন হবে না।



দৈনিক প্রভাতী/এমআর