রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যায়যায়দিনের বিশেষ প্রতিনিধিকে হত্যার হুমকি

ডেস্ক রিপোর্ট

দৈনিক প্রভাতী

প্রকাশিত : ০৫:০৭ পিএম, ২২ আগস্ট ২০২৪ বৃহস্পতিবার

মাসুদ

মাসুদ

চাঁদাবাজিসহ সাধারণ মানুষদের জিম্মি করার বিষয়ে একটি পত্রিকার অনলাইন সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দাতা মোহাম্মদ মাসুদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি দৈনিক যায়যায়দিনের বিশেষ প্রতিনিধি শাহাদত হোসেনকে হত্যার হুমকি দেয়। জিম্মিবাজ এ সম্পাদক সবুজ বাংলাদেশ নামের পত্রিকার অনলাইনের সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন।

 বুধবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সবিচবালয়ের পাশে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে ফোনে মাধ্যমে কেনো গালিগালাজ করা হল জানতে চাইলে সাংবাদিক শাহাদত হোসেনকে হত্যার ও গুম করার হুমকি দেন।

ইতিমধ্যে, হত্যার হুমকির বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

ওই অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্পাদক মোহাম্মাদ মাসুদ কর্তৃক বিভিন্ন নামে অনলাইন খুলে বর্তমান প্রেক্ষাপটের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন আমলা, ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদদের নামে নিউজ করে থাকে। এরপর সেই নিউজের লিংক সেই কাঙ্খিত ব্যক্তির কাছে পাঠিয়ে দিয়ে চাঁদা দাবি করে। প্রথম নিউজে কাজ না হলে ধারাবাহিক নিউজ করতে থাকে। তার বিরুদ্ধে একাধিক এসব অভিযোগের বিষয়টি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সাক্ষাতে মোহাম্মাদ মাসুদের কথা বলতে গেলে, তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অকর্থ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এই সাংবাদিক শাহাদত হোসেনকে। পরে ফোনে একজন গণ্যমাধমকমী হয়ে একজন গণ্যমাধ্যম কর্মীদের কেনো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হল জানতে চাইলে ভুয়া সম্পাদক মাসুদ যায়যায়দিনের বিশেষ প্রতিনিধিকে প্রাণনাশের ও গুম করার হুমকি দেয়। যা এ প্রতিবেদকের কাছে কল রের্কডিং রয়েছে। এছাড়াও ভুয়া সম্পাদকের বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধি নামে ফোন দিয়ে হুমকি দেয়। এর মধ্যে বেনাপোল থেকে আলী রেজা, চুয়াডাঙ্গা থেকে এইচএম হাকিমসহ আরো বেশ কয়েকজন রয়েছে।

 

হুমকির বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র একজন সদস্য বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। তিনি আরো জানান, এরা প্রধানত প্রেসক্লাব কেন্দ্রীক একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। অনিবন্ধিত ক্রাইম ধরণের নাম দিয়ে অনলাইন খুলে মনগড়া গল্প নিউজ আকারে লেখে সুনামধন্য ব্যক্তিদের জিম্মী করাই এদের প্রধান কাজ। এ বিষয়ে অচিরের জাতীয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে এসব ধান্দাবাজ সম্পাদক ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র সাংবাদিক জানান, এরা প্রেসক্লাবের কোনো নামে ধান্দা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এরা প্রথমে নামধারী কিছু অনলাইনে নিউজ আপলোড করে টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের কাছে নিউজের লিংক পাঠায়। এরপর ফোনে টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের প্রেসক্লাবে ডাকেন। ভুয়া সম্পাদক ধারী ব্যক্তি প্রেসক্লাবে কথা বলায় ঐ সব ব্যক্তিরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পরে। সেই সুবিধা কাজে লাগিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়।