আজ শারদীয় দুর্গোৎসবের মহানবমী
ডেস্ক রিপোর্ট ::
দৈনিক প্রভাতী
প্রকাশিত : ১১:৩৪ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৩ সোমবার
শারদীয় দুর্গোৎসব
শারদীয় দুর্গোৎসবের আজ মহানবমী আজ (সোমবার)। নবমীর দিন হচ্ছে দেবী দুর্গাকে প্রাণ ভরে দেখে নেয়ার ক্ষণ। এদিন ধর্মীয় আচার শেষে দেবীর চরণে অঞ্জলি নিবেদন করেন ভক্তরা। একদিন পরই মহাদশমী; বিসর্জনের মধ্যদিয়ে বিদায় নেবেন মা দুর্গা। তাই আজই যেন বিদায়ের সুর ভক্তদের মনে।
নবরাত্রির শেষ দিনে অর্থাৎ নবম দিনে দেবী দুর্গাকে সিদ্ধিদাত্রী রূপে পূজা করার রীতি রয়েছে। নবমীর সন্ধ্যা আরতির পর বিষাদের সুর বাজে সর্বত্র। শারদীয় দুর্গোৎসবের ৪র্থ দিন আজ মহানবমী। চন্দ্রের নবমী তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পালন করবেন মহানবমীর কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা।
এদিন নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে মহানবমীর পূজা শেষে যথারীতি দেবীর চরণে অঞ্জলি দেবেন ভক্তরা। নবমী তিথিতে দেবী দুর্গার আরাধনা হয় দেবী সিদ্ধিদাত্রী রূপে, যা ঐশ্বরিক। তিনি পার্থিব আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেন এবং অজ্ঞতা দূর করেন। মূলত আজই পূজার শেষ দিন। কাল (মঙ্গলবার) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হবে শারদীয় এ দুর্গোৎসব।
শাস্ত্র মতে মহিষাসুরকে বধ করার জন্য দেবী পার্বতী দুর্গার রূপ ধারণ করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। মহিষাসুর ছিল এক ভয়ংকর অত্যাচারী ও শক্তিশালী অসুর, যার সঙ্গে যুদ্ধ করা সমস্ত দেবতার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছিল।
অসুর রাজ ও দৈত্যসেনাদের বিশ্বাস হয়ে যায় যে, তারা এতটাই ক্ষমতাশালী যে স্বর্গরাজ্য জয় করে মর্ত্যবাসীদের ওপর রাজ করতে সক্ষম। স্বর্গরাজ্যে হানা দিলে সব দেবতা মহাদিদেবের কাছে ছুটে যান এবং এ সমস্যা থেকে প্রতিকার চেয়ে প্রার্থনা করেন। সে সময় মহাদেব জানিয়েছিলেন, অসুরকুলকে বিনাশ করতে পারবেন একমাত্র মহিষমর্দিনী। তাই আদিশক্তি দুর্গার রূপ ধারণ করে মহিষাসুরের সঙ্গে টানা ৮ দিন যুদ্ধ করে নবম দিনে মহিষাসুরকে বধ করেন। সেই থেকে শুরু হয় দুর্গাপূজা।