লালমনিরহাটের তানভীর ফেরদৌস আজ বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের একজন
প্রকাশিত : ০১:১৫ এএম, ১৭ অক্টোবর ২০২২ সোমবার
লালমনিরহাটের-তানভীর-ফেরদৌস-আজ-বিশ্বের-শীর্ষ-বিজ্ঞানীদের-একজন
ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক তানভীর স্থান পেয়েছেন বিশ্বে শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এলসেভিয়ার এ তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে তানভীর ফেরদৌসের নাম রয়েছে।
ইউএপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাপক তানভীর ফেরদৌস বাংলাদেশের একজন পরিচিত গবেষক। তিনি বর্জ্য পদার্থভিত্তিক শক্তি উৎপাদনকারী জলাভূমি পদ্ধতি ও অভিনব সেপটিক ট্যাংক তৈরি করেছেন। এর মাধ্যমে গৃহস্থালি ও বাণিজ্যিক সুবিধা থেকে উৎপাদিত বর্জ্যপানি সম্পূর্ণরূপে শোধন করা যাবে।
তিনি বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন-আইটিএন বুয়েট থেকে বর্জ্য জল এবং মানব বর্জ্য চিকিৎসার জন্য সম্মানজনক অনুদানও পেয়েছেন। এগুলো ছাড়াও, তিনি অপচয়ের জন্য সরকারী এবং বেসরকারী উভয় তহবিলকে পুরস্কৃত করেছিলেন।
এই কৃতি সন্তানের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তায়। তানভীর ফেরদৌস সাঈদ গবেষণার পাশাপাশি পারিবারিকভাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজসেবক হয়ে এই জেলায় কাজ করে যাচ্ছেন। অধ্যাপক তানভীর ফেরদৌস এর বাবা প্রয়াত ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ দুলাল (এমপি)। তিনি লালমনিরহাট জেলা সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
পরিবারের দুই সন্তানের মধ্যে তিনি বড়। বাবা ও মা আদর করে ডাকেন অনিন্দ্য। তিনি সেন্ট জোসেফ হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করে ঢাকা কলেজে পড়েন, এরপর বুয়েট হতে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে আইটিএন নিয়ে থাইল্যান্ডে ও মোনাশ ইউনি অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করেন।
প্রফেসর তানভীর ২০১৬ সালে টঅচ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং পরে ২০১৯ এ প্রফেসর পদে উন্নীত হন। তিনি বাংলাদেশে বর্জ্য জল এবং দূষিত ভূপৃষ্ঠের জলের চিকিৎসা প্রদানের জন্য নির্মিত জলাভূমি ব্যবস্থা প্রবর্তনের পথপ্রদর্শক।
বাংলাদেশে বর্জ্য পানি শোধনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি তহবিল যা দেশের সবচেয়ে পরিবেশগত সমস্যা হয়ে উঠছে।
অধ্যাপক তানভীর ফেরদৌস বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সহযোগী ফেলো ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের স্বর্ণপদক বিজয়ী গবেষক। তিনি এখন ঢাকা শহরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। এই গবেষক বাংলাদেশের কয়েকজন বিজ্ঞানীদের মধ্যে একজন যিনি এই মহান স্বীকৃতি পেয়েছেন। তার অনেক গবেষণাপত্র স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক জার্নালে ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি লালমনিরহাট জেলা নয় সমগ্র বাংলাদেশের গর্ব।