সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার

প্রকাশিত : ০৬:১৫ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২২ রোববার

স্ত্রীকে-ছুরিকাঘাতে-হত্যা-স্বামী-গ্রেফতার

স্ত্রীকে-ছুরিকাঘাতে-হত্যা-স্বামী-গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী নাজমা আক্তারকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগে স্বামী কাউছার আলম তুহিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার সকাল ৯টার দিকে ফতুল্লার মডেল থানার ইসদাইর স্টেডিয়াম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি ফতুল্লা থানার ফাজিলপুর এলাকার মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোরে ফতুল্লার ফাজিলপুর এলাকায় রকির ভাড়াটিয়া বাড়িতে কাউছার আলম তুহিন পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী নাজমা আক্তারকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা (টু) জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে স্বামী পলাতক ছিল। রোববার সকাল ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইসদাইর স্টেডিয়াম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের শিকার নাজমা আক্তার সৌদি প্রবাসী ছিলেন। দেড় বছর আগে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ৩০ সেপ্টেম্বর তার দুবাই যাওয়ার কথা ছিল।

কাউছার আলম তুহিন বেকার ছিলেন। তিনি কোনো কাজ করতেন না এবং মাদকাসক্ত। প্রায় সময় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। ঘটনার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে স্ত্রীকে। তাদের সংসারে দুই ছেলে রয়েছে।

নিহতের বড় ছেলে নাজমুল ইসলাম রবি জানান, পারিবারিক কলহের জেরে মায়ের বুকের নিচে বাবা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেছে। তাৎক্ষণিক ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দুই ভাই আর বাবা-মাকে নিয়ে তাদের পরিবার।

নাজমা বেগম বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার কবাই ইউনিয়নের খোদাবক্স গ্রামের আব্দুল গনি মিয়ার মেয়ে। তিনি দুই ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে ফতুল্লার ফাজেলপুরস্থ রকির বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন।।

ঘটনার একদিন পর নিহতের বড় ছেলে নাজমুল ইসলাম রবি বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।