অজি ‘হোম অব ক্রিকেট’ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের আদ্যোপান্ত
প্রকাশিত : ০৫:৩০ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২২ রোববার
অজি-হোম-অব-ক্রিকেট-মেলবোর্ন-ক্রিকেট-গ্রাউন্ডের-আদ্যোপান্ত
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে টাইটেল ধরে রাখার লড়াইয়ে ঘরের মাঠে নামবে অজিরা। ম্যাচগুলো হবে তাদের নয়নাভিরাম সাতটি শহরের সাতটি মাঠে।
আইসিসি জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার সাতটি শহরে হবে এই টুর্নামেন্ট। খেলাগুলো হবে ব্রিসবেন, গিলং, হোবার্ট, পার্থ, সিডনি, অ্যাডিলেড ও মেলবোর্নে। এর মধ্যে প্রথম পর্বের ম্যাচগুলো হবে গিলং শহরে। মূলপর্বের ম্যাচগুলো হবে বাকি ছয় ভেন্যুতে।
বিশ্বকাপের ভেন্যুগুলোর আদ্যোপান্ত নিয়ে দৈনিক প্রভাতী-এর আয়োজনে আজ থাকছে বিখ্যাত মেলবোর্ন স্টেডিয়াম।
বিশ্বের ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর স্টেডিয়ামের মধ্যে অন্যতম বড় ভেন্যু অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন স্টেডিয়াম। এর পুরো নাম মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড। বিশ্বজুড়ে যা ‘এমসিজি’ নামেই সর্বাধিক পরিচিত। এই মাঠকে অনেকেই অস্ট্রেলিয়ার ‘হোম অব ক্রিকেট’ বলে থাকেন।
এটি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরের ইয়ারা পার্কে অবস্থিত। এখানে অবশ্য ক্রিকেট ছাড়াও অনেক জনপ্রিয় খেলা অনুষ্ঠিত হতো। যার মধ্যে অন্যতম হলো রুলস ফুটবল। এছাড়াও ১৯৫৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের প্রধান স্টেডিয়াম হিসেবে এই মাঠ ব্যবহার করা হয়েছিলো। এই মাঠেই ১৯৫৬ সালে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
ইতিহাস খুঁজলে দেখা যায়, এই মাঠে নির্মাণের মূল উদ্দেশ্যই ছিলো ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে। ১৮৫৩ সালে মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব কর্তৃপক্ষ মাঠটিকে ক্রিকেট খেলার উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম ব্যবহার করতে শুরু করে। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড মূলত ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। উইলিয়াম হেইন্স নামে এক অস্ট্রেলীয় ভদ্রলোক ট্রাস্টের প্রথম সভাপতি ছিলেন।
এই স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণ ক্ষমতা এক লক্ষ চব্বিশ হাজার। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে এই মাঠে বিশ্বকাপের আসর শুরু হবে। বিশ্বকাপের ফাইনালের মহাযুদ্ধের মহারণও অনুষ্ঠিত হবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। এরই মধ্যে এই মাঠে অনুষ্ঠিত সব খেলার টিকিটও শেষ হয়ে গিয়েছে বলে জানায় আইসিসি।
পরিসংখ্যানের হিসেবে সবধরণের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এই মাঠে ২০২২ সালে প্রথম ইনিংসের গড় রান ১৭৬। আগে ব্যাট করে জয়ের হার ৪৪.৭ শতাংশ।
সেই তুলনায় পরে ব্যাট করা দলগুলোর জয়ের হার বেশি, ৫৩.২ শতাংশ। ড্র হয়েছে খুব কম, মাত্র ৩.১ শতাংশ। সুতরাং মেলবোর্নে যে বিশ্বকাপের উন্মাদনা চুড়ান্ত মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।