রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে আয়ানের বিশ্বরেকর্ড

প্রকাশিত : ০৫:৩০ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২২ রোববার

সর্বকনিষ্ঠ-খেলোয়াড়-হিসেবে-আয়ানের-বিশ্বরেকর্ড

সর্বকনিষ্ঠ-খেলোয়াড়-হিসেবে-আয়ানের-বিশ্বরেকর্ড

২০০৭ সালে পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিলো ভারত। সেই দলে ছিলেন রোহিত শর্মা ও দীনেশ কার্তিক। যারা এবার অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপেও দলের সঙ্গেই আছেন। রোহিত অধিনায়ক আর কার্তিক দলের অন্যতম ভরসা।

এই দুজন যখন ২০০৭ বিশ্বকাপে খেলছেন তখন ভারতের গোয়ায় হামাগুড়ি দিচ্ছে বছর দুয়েকের শিশু। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সেদিনের দুই বছরের শিশুটিও এবার রোহিত শর্মাদের সঙ্গে একই আসরে মাঠ মাতাবে। ১৬ বছর বয়সী এই কিশোরের নাম আয়ান আফজাল খান।

আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ইতোমধ্যেই রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন আরব আমিরাতের এই খেলোয়াড়। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বিশ্বকাপে অভিষিক্ত আফজালের বয়স মাত্র ১৬ বছর ৩৩৫ দিন। এর আগের রেকর্ডটি ছিলো পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মাদ আমিরের। ১৭ বছর ৫৫ দিন বয়সে বিশ্বকাপ খেলতে নেমে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি।

আয়ানের জন্মস্থান ভারতের গোয়ায় হলেও সেখানে ছিলেন না বেশিদিন। জন্মের দুই বছর বয়সেই আয়ানের নতুন ঠিকানা হয় মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে বাবার কাছে ক্রিকেটে হাতেখড়ি তার। বাবা স্বপ্ন দেখতেন ছেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবে।

বাবার স্বপ্ন পূরন হয় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় আফজাল খানের। এবার সরাসরি বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপের আগে দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজে বাঁ-হাতি এই স্পিনার নিয়েছেন তিন উইকেট।

ব্যাট হাতেও দুর্দান্ত খেলেন এই স্পিনিং অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেছেন ১৭ বলে ২৫ রানের ইনিংস। আয়ান নজর কেড়েছিলেন বছরের শুরুর দিকেই। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্লেট পর্বের শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা ছিলো তার।

জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত এ তরুণ ক্রিকেটার। আইসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক ভিডিওতে আয়ান বলেন, এত অল্প বয়সে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলাটা আমার জন্য স্বপ্ন। এই এমসিজিতে দাঁড়ানোটাও আমার জন্য স্বপ্ন।

তিনি আরো বলেন, আমার বয়স যখন ১০-১২ ছিল তখন টিভিতে বিরাট কোহলি, স্টিভেন স্মিথদের মতো ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটারদের এমসিজিতে খেলতে দেখতাম। ২০১১ সালে ভারতের বিশ্বকাপ জয় আমাকে জাতির জন্য কিছু করার প্রেরণা দিয়েছিলো।