সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাগরেই ইয়াবা ভাগ-বাঁটোয়ারা

প্রকাশিত : ০৩:১৫ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২২ রোববার

সাগরেই-ইয়াবা-ভাগ-বাঁটোয়ারা

সাগরেই-ইয়াবা-ভাগ-বাঁটোয়ারা

সম্পর্কিত খবর রাজধানীতে ইয়াবাসহ ৪ ব্যবসায়ী গ্রেফতার চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকতে অভিযান চালিয়ে তিন কোটি টাকার ইয়াবাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। এ সময় ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি বোট উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার। এর আগে, শনিবার সকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- নগরের পতেঙ্গার থানার দক্ষিণ পতেঙ্গা এলাকার মো. ছালেহ আহাম্মদের ছেলে মো. নিজাম উদ্দিন, একই এলাকার ওবায়দুল হকের ছেলে মো. ওমর ফারুক ওরফে প্যাকেজ ফারুক, আনোয়ারা উপজেলার খুদ্রগহিরা এলাকার আব্দুল মোতালেবের ছেলে মো. আব্দুল মালেক, আব্দুল মালেকের ছেলে মো. হাসান মিয়া ও গহিরা এলাকার মো. নুর নবীর ছেলে মো. ইমরান হোসেন।

র‍্যাব জানায়, ইয়াবার একটি বড় চালান স্পিডবোটে পতেঙ্গা সৈকতের দিকে আসছে। চালানটির কিছু অংশ সৈকতের মেইন পয়েন্ট ঘাটের কিছুটা অদূরে লাইফ বোটে অবস্থান করা লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরবর্তীতে স্পিডবোট ও লাইফ বোটটি সৈকতের মেইন পয়েন্ট ঘাট হয়ে অন্যত্র চলে যাবে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সকালে সেখানে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে লাইফ বোট ও স্পিডবোটে থাকা মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের কাছে থাকা দুটি ট্র্যাভেল ব্যাগের ভেতর থেকে এক লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য আনুমানিক তিন কোটি টাকা।

সিনিয়র সহকারী পরিচালক নুরুল আবছার বলেন, স্পিডবোট ও পতেঙ্গা সৈকতের নাইটগার্ড হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন আব্দুল মালেক। তার বাড়ি আনোয়ারার গহিরা এলাকায়। তিনি ওই এলাকায় ইয়াবা সম্রাট হিসেবে পরিচিত। আট বছরের বেশি সময় ধরে পতেঙ্গায় নাইটগার্ড হিসেবে কাজের পাশাপাশি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তিনি। আব্দুল মালেকের সংকেতের ওপর ভিত্তি করে মাদক ব্যবসায়ীরা স্পিডবোটে ইয়াবা নিয়ে সৈকতে আসতেন। এরপর তিনি সেগুলো গ্রহণ করে বিক্রি করতেন।

নিজাম উদ্দিন স্পিডবোটচালক। দীর্ঘদিন ধরে এ পেশায় নিয়োজিত থাকলেও সম্প্রতি গার্মেন্টসে চাকরি নেন তিনি। আর ছুটির দিনে করতেন মাদক বহনের কাজ। পায়ে জন্মগত ত্রুটি রয়েছে হাসান মিয়ার। বেশিরভাগ সময় টেকনাফে থাকতেন তিনি। টেকনাফ থেকে ইয়াবা আনার সব ব্যবস্থা করে দিতেন। মূলত প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে কেউ সন্দেহ করতো না।

চার বছর ধরে স্পিডবোটের হেলপার হিসেবে চাকরি করছিলেন ইমরান হোসেন। এর পাশাপাশি মাদকের চালান পরিবহনে সহযোগিতা করতেন তিনি। ওমর ফারুক স্পিডবোটের মালিক। অনেকগুলো বোট থাকলেও নির্দিষ্ট একটি বোটকে মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহার করতেন তিনি।

র‍্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবছার আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফের সীমান্ত এলাকা মিয়ানমার থেকে সাগরপথে মাদক সংগ্রহ করে পরবর্তীতে তা চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে আসছিলেন তারা। একইভাবে উদ্ধার করা চালানটিও মহেশখালী-কুতুবদিয়া হয়ে পতেঙ্গা সৈকতে নিয়ে আসেন। গ্রেফতারের পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।