রাবানের বিলে পদ্মরাজ্যের সৌন্দর্য
প্রকাশিত : ০৩:১৫ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২২ রোববার
রাবানের-বিলে-পদ্মরাজ্যের-সৌন্দর্য
দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন ফুলের বিছানা পেতে রেখেছে কেউ। যত দূর চোখ যায় যেন পদ্মের হাসি দেখা যায়। প্রতিবছর বর্ষাকালের শেষ দিকে এ বিলের বেশির ভাগ অংশ জুড়েই প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয় এ পদ্মফুল।
বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গোলাপি রঙের পদ্ম দেখলে মনও জুড়িয়ে যায়। এ বিলের সৌন্দর্যকে বর্ধন করা পদ্মরাজ্য দেখার জন্য দূর-দুরান্ত থেকে প্রতিদিনই আসছে শতশত মানুষ। প্রকৃতির কী অপরূপ সাজ! বিলে যেন আসন পেতে আছে রাশি রাশি অসংখ্য পদ্মফুল।
কেউ কেউ সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছে, কেউ বা ছবি তুলছে। কেউ আবার ডিঙ্গি নৌকা বা কোন্দায় চড়ে গিয়ে তুলে আনছে পদ্ম ফুল। এ যেন এক অন্য রকম উন্মাদনা পেয়ে বসেছে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষকে। অনেকের মতে, পদ্মের এত বড় বিল দেখাটাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
দুর্গা বিভিন্ন পূজায় কাজে লাগে এ পদ্মফুল। সে জন্য হিন্দু ধর্মের মানুষজন এ বিল থেকে প্রচুরসংখ্যক পদ্মফুল সংগ্রহ করে থাকে। উপজেলার স্থানীয় বাজারে এসব পদ্ম বিক্রিও হয়।
কবি বোরহান মেহেদীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর বর্ষাকালের শেষ দিকে এ বিলে পদ্ম ফোটে। বিল থেকে পানি নেমে গেলে হাঁটুজলেও পদ্মপাতা ও ফুলের শোভা মেলে।
রাবানের পদ্মবিলে ঘুরতে আসা পলাশ শিল্পাঞ্চল সরকারি কলেজে সহকারী অধ্যাপক আনিসুর রহমান শিপলু বলেন, স্বচ্ছ জলরাশিতে ভেসে থাকা পদ্মফুল ও বিলের সৌন্দর্যকে আরো নৈসর্গিক করে তুলেছে চিল, মাছরাঙা, পানকৌড়ি, বালিহাঁসসহ বিভিন্ন পাখির বিচরণ। পুরো বিল মুখর পাখির কলতানে। এখানে এসে খুবই আনন্দ উপভোগ করছি। প্রতি বছর পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে আসি।
পলাশ থানা সেট্রাল কলেজের শিক্ষক পরিবেশবিদ শহিদুল হক সুমন বলেন, এ বিলটি একটি ঐতিহ্যবাহী পদ্মবিল। বিলটির ঐতিহাসিক সৌন্দর্য ধরে রাখা আমাদের কর্তব্য।
তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে পর্যটন মন্ত্রণালয় তথা সরকারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয়দের প্রত্যাশা এমনটাই।