সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইউক্রেনের যে শহরে এখনও অগ্রসর হচ্ছে রুশ বাহিনী

প্রকাশিত : ০৪:৫০ এএম, ১৬ অক্টোবর ২০২২ রোববার

ইউক্রেনের-যে-শহরে-এখনও-অগ্রসর-হচ্ছে-রুশ-বাহিনী

ইউক্রেনের-যে-শহরে-এখনও-অগ্রসর-হচ্ছে-রুশ-বাহিনী

আট মাস হতে চললো ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের। তবে সর্বশেষ কয়েক মাসে রুশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য কোনো সফলতা নেই। উল্টো যেসব অঞ্চল তারা দখল করেছিল সেগুলোর মধ্যে কিছু এলাকা মুক্ত করছে ইউক্রেন। পাল্টা আক্রমণে দক্ষিণ ও পূর্বে কিছু বসতি গত মাস থেকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এই পিছু হটার মধ্যেই ডনবাসের পূর্বাঞ্চলে বাখমুত শহরে চোখ রয়েছে রাশিয়া। সেখানে রুশ সেনারা এগিয়ে যাচ্ছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরটিতে দিনে ও রাতে অবিরাম গোলাবর্ষণ করছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। কয়েক সপ্তাহ ধরে এমন অবস্থা জারি হয়েছে।

বাখমুত শহরের ৭০ হাজার বাসিন্দার বেশিরভাগ ইতোমধ্যে অন্যত্র চলে গেছে। যারা রয়ে গেছেন তাদের বেশিরভাগ বয়স্ক মানুষ। পানি বা বিদ্যুৎ ছাড়াই তাদের বাস করতে হচ্ছে। সম্প্রতি ছোট একদল মানুষ দলবেঁধে শহর ত্যাগ করেছেন।

শহরটিতে রাশিয়া মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে যুদ্ধের আখ্যান বদলে দিতে। যে কয়েকটি স্থানে রুশ সেনারা পিছু হটেনি সেগুলোর একটি হলো বাখমুত। শহরটিতে রুশ সেনাদের অগ্রগতি মন্থর ও ব্যয় সাপেক্ষ হলেও তারা এগোচ্ছে।

এক সময় বাখমুত দখলের যৌক্তিকতা রুশ বাহিনীর কাছে ছিল। গ্রীষ্মের শুরুতে কাছের সেভেরোডনেস্ক ও লিসিচানস্ক দখল করেছিল। ওই সময় শহরটির হওয়ার কথা ছিল পরের লক্ষ্যমাত্রা। এরপর রুশ সেনারা ক্রামাটর্স্ক ও স্লোভিয়ানস্কের দিকে এগিয়ে যাওয়া প্রত্যাশা করা হচ্ছিল।

কিন্তু পূর্ব ও দক্ষিণে ইউক্রেনে পাল্টা আক্রমণের পর রুশ সেনারা উত্তর দিকে পিছু হটে। জুলাই মাসে রুশ কামানের আওতায় থাকলেও এখন ক্রামাটর্স্ক ও স্লোভিয়ানস্ক রেঞ্জের বাইরে চলে গেছে। মোটা দাগে রাশিয়া বাধ্য হয়েছে আক্রমণাত্মক অবস্থান থেকে সরে রক্ষণাত্মক অবস্থানে চলে যেতে।

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল সেরহি চেরেভাটি এখনও সন্দেহ করছেন বাখমুত দখলের মতো সেনা বা সরঞ্জাম রাশিয়া রয়েছে কিনা। একই সময়ে রাশিয়া সুদূর উত্তরে দুটি শহরে নতুন প্রতিরক্ষা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। রুশ সেনাদের গুরুত্বপূর্ণ রসদ সরবরাহের রুটে হুমকি তৈরি করেছে ইউক্রেন।

বাখমুত দখলে রাশিয়া বেসরকারি ভাড়াটে যোদ্ধা গোষ্ঠী ওয়াগনার গ্রুপের ওপর নির্ভর করছে মনে করে ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনে লড়াই করছে এই যোদ্ধা গোষ্ঠী।

রাশিয়া যদি বাখমুত দখল করে ফেলে তাহলে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর পরের পদক্ষেপ কী হবে তা সম্পর্কে কর্নেল চেরেভাটি বলেছেন, আমরা যখন লিসিচানস্ক থেকে পিছু হটি তখন তাদের ক্লান্ত করে ফেলেছিলাম। এখানেও তাই করব।