নদীতে প্রভাবশালীর পুকুর!
প্রকাশিত : ০৭:১৫ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২২ শনিবার
নদীতে-প্রভাবশালীর-পুকুর
এভাবেই ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চোরকোল গ্রামে চিত্রা নদীর পাশে পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করছিলেন পুটু। চুয়াডাঙ্গা থেকে বেরিয়ে আসা চিত্রা নদীটি ঝিনাইদহের সদর, কোটচাঁদপুর ও কালীগঞ্জ উপজেলা পেরিয়ে যশোরে ঢুকেছে।
এ নদী চোরকোল আর কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে। চোরকোল গ্রামে নদীটির উত্তরে বিশাল পুকুর রয়েছে। পুকুরটি বেশিরভাগ অংশই নদীর মধ্যে।
নদীতে পাট ছাড়ানোর কাজে নিয়োজিত রুহুল আমিন জানান, এ পুকুরটি অনেকদিন ধরেই মোফাজ্জেল হোসেন ওরফে পুটু মিয়া কেটেছেন। তিনি কখনো অন্যের কাছে ইজারা দেন আবার কখনো নিজে মাছের চাষ করেন। পুটু মিয়া প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তার পুকুরে নজর দেন না। এমনকি পুকুরে কেউ হাত না দিতেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন জানান, পুকুরটির কারণে নদীর গতিপথ পাল্টে গেছে। পুকুর যে স্থানে রয়েছে সেখানে নদী বাঁকা হয়ে গেছে। পুকুরটির কারণে স্রোত কমে গেছে। ওই স্থানে পানি এসে বাধাগ্রস্ত হয়।
মোফাজ্জেল হোসেন জানান, তিনি এরশাদ সরকারের সময়ে এ পুকুর কেটেছেন। আজও কেউ তার পুকুরটি কাটতে আসেনি। একবার নদীর জায়গা মাপা হয়েছে, পুকুরের কিছু অংশ পড়েছে সরকারি জায়গায়। এরপরও পুকুর রয়েছে।
তিনি বলেন, এতদিনেও যখন কেউ তার পুকুর কাটতে আসেনি, আর কাটবে না। তবে সরকার কেটে দিলে কোনো আপত্তি করব না।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শাহীন বলেন, বিষয়টি শুনিনি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।