সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, আঘাত হানা নিয়ে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

প্রকাশিত : ০১:১০ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২২ শনিবার

বঙ্গোপসাগরে-ঘূর্ণিঝড়-সিত্রাং-আঘাত-হানা-নিয়ে-বাংলাদেশে-যুক্তরাষ্ট্রের-সতর্কবার্তা

বঙ্গোপসাগরে-ঘূর্ণিঝড়-সিত্রাং-আঘাত-হানা-নিয়ে-বাংলাদেশে-যুক্তরাষ্ট্রের-সতর্কবার্তা

বঙ্গোপসাগরে সুপার সাইক্লোন সিত্রাং ঘূর্ণিঝড় ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। এক্ষেত্রে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে কবে উপকূলে আঘাত হানবে তা জানিয়ে দিয়েছে।

চলতি অক্টোবর মাসে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির মাধ্যমে সুপার সাইক্লোন রূপ নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের ওপর দিয়ে আঘাত হানবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। 

বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকা এবং ভারতের সুন্দরবন ও অন্ধ্র প্রদেশ এলাকায় আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর এর তথ্য মতে সিডর বা আয়লা চেয়েও ভয়ংকর হতে পারে এ ঘূর্ণিঝড়।

আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ অক্টোবরের মধ্যে আঘাত হানতে পারে।

এদিকে দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে আবহাওয়াবিদদের মধ্যে চলছে নানা বিশ্নেষণ। এ অবস্থায় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম (জিএফএস) জানিয়েছে, এটি সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে সতর্ক আছে বাংলাদেশ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, জিএফএস বলেছে, ১৭ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হবে। যেটা পরবর্তী সময়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঝড়ে রূপ নেবে। ঐ ঝড় ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও আমাদের সুন্দরবনের কিছু অংশে আঘাত হানতে পারে।

চলতি মাসের শুরুতে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদফতরও। কিন্তু এরপর এ নিয়ে আর কোনো তথ্য তারা জানায়নি। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা (আবহাওয়াবিদ) বলেছেন, এটি আরো পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও লঘুচাপ এখনো সৃষ্টি হয়নি। এ বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি। উপকূলে বার্তা পৌঁছে গেছে, প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়ণ কেন্দ্র।

বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া মডেল বিশ্নেষণ করে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির বিষয়ে বিশ্বের পাঁচটি আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের সবগুলোই একমত। মডেলগুলোর সবক'টিই সুপার-সাইক্লোন অপেক্ষা কম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনার কথা নির্দেশ করছে।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি আন্দামান ও নিকোবর দীপপুঞ্জ থেকে পশ্চিম দিকে ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের মাঝামাঝি উপকূলের দিকে অগ্রসর হলে অপেক্ষাকৃত দুর্বল হয়ে স্থলভাগে আঘাত করবে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে উত্তর দিকে বাংলাদেশের বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অগ্রসর হলে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী হিসেবে স্থলভাগে আঘাত করবে।