কুমিল্লায় মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
প্রকাশিত : ১০:১৫ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার
কুমিল্লায়-মাদক-ব্যবসার-দ্বন্দ্বে-যুবককে-পিটিয়ে-হত্যা
শুক্রবার চান্দিনা উপজেলার নবাবপুর বাজারের একটি প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরআগে জুয়েলকে আহতাবস্থায় ওই হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
নিহত মো. জুয়েল মিয়াজী পার্শ্ববর্তী চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার উজানী গ্রামের মো. সফিউল্লাহর ছেলে।
জানা গেছে, চান্দিনা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার গ্রাম উজানী। ওই গ্রামের ছেলে জুয়েল মিয়াজী দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে কচুয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৬টি মাদক মামলা রয়েছে। তার সঙ্গে চান্দিনার লেবাস গ্রামের সম্রাট নামের এক মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে দীর্ঘ দিনের দ্ব›দ্ব চলছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে জুয়েলকে উজানী থেকে ধরে চান্দিনার লেবাস গ্রামে নিয়ে আসে প্রতিপক্ষ গ্রুপটি। লেবাস গ্রামের ফসলি মাঠের আইলে রাতভর শারীরিক নির্যাতন করার এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়ে জুয়েল রানা। শুক্রবার সকাল ৮টায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের ২ জন তাকে একটি অটোরিকশায় উঠিয়ে দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
নিহতের ভাই সোহেল রানা বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর থেকে আমার ভাইয়ের সঙ্গে আর দেখা হয়নি। সকাল সাড়ে ৯টার দিাকে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে আমার মা হনুফা বেগমকে ফোন করে জানায় আমার ভাই নবাবপুর টাওয়ার হাসপাতালে ভর্তি। খবর পেয়ে আমরা ওই হাসপাতালে আসার পর দেখি আমার ভাই মারা গেছে। আমার ভাই প্রায় পাঁচ বছর মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল। সম্প্রতি সে ওই ব্যবসা থেকে সরে যাওয়ায় সম্রাট ও তার গ্রুপের লোকেরা আমার ভাইকে হত্যা করেছে।
চান্দিনা থানার ওসি মো. সাহাবুদ্দীন খান জানান, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে নবাবপুর টাওয়ার হাসপাতালে যাই। সেখানে যাওয়ার পর জানতে পারি হত্যাকারী চক্রের ২জন তাকে একটি অটোরিকশায় তুলে দিয়ে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে আসার পরও এক ঘণ্টারও বেশি সময় জীবিত ছিল। কিছু কথাও বলেছে। সকাল ১০টার দিকে মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সোহেল মিয়াজী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।