ইসরায়েলি সেনার গুলিতে আহত ফিলিস্তিনি চিকিৎসকের মৃত্যু
প্রকাশিত : ০৯:৫০ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার
ইসরায়েলি-সেনার-গুলিতে-আহত-ফিলিস্তিনি-চিকিৎসকের-মৃত্যু
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার সকালের দিকে চালানো অভিযানে মাতেন ডাবায়া নামের এক ফিলিস্তিনি তরুণকে গুলি করে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। ঐ সময় গুলিতে আহত হন অন্তত পাঁচজন। এর মধ্যে আব্দুল্লাহ আল আহমাদও ছিলেন।
ফিলিস্তিনিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ আওওদেহ বলেছিলেন, শুক্রবার সকাল ৮টায় (স্থানীয় সময়) অস্ত্রসজ্জিত গাড়ি নিয়ে জেনিন শহরে অভিযান চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এ সময় গুলি ছুড়লে মাতেনের মাথায় গুলি লাগলে ফিলিস্তি নিহত হন। এ সময় ৪০ বছরের আব্দুল্লাহ আল আহমাদ নামের একজন চিকিসকের মাথায় গুলি লেগেছে। তার অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক।
এদিকে, শুক্রবার সকালে ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানায়, গত মাসে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি কিশোর বন্দি অবস্থায় আহতের কারণে মারা গেছেন।
ওয়াফা ও ফিলিস্তিনি কমিশনের বন্দি কর্তৃপক্ষ ঐ কিশোরীরের পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছে। নিহত ঐ কিশোরীরের নাম মাহের গাওয়াদরেহ। তার বয়স ছিল ১৭ বছর।
গাওয়াদরেহকে জেনিন শরণার্থী ক্যাম্প থেকে তুলে নেয়া হয়। ইসরায়েলের তেল হাসোমের হাসপাতালে চিকি’সাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর দখল করা জর্ডান ভেলিতে ইসরায়েলি বাসের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগে গাওয়াদরেহকে আটক করা হয়। ঐ হামলায় সাত ইসরায়েলি সেনা আহত হয়।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ১৯৬৭ সালে দখল করা পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যেকায় চলতি বছরে অন্তত ১৬০ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এরমধ্যে গত আগস্টে তিনদিনের হামলায় ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হন।
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন ও নাবলাস শহরে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী বেশ শক্তিশালী। সেই প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করে ইসরায়েল।
পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যাকায় হত্যাকারী সন্দেহে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধ ‘হত্যার নীতি‘ ও অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগেরন নিন্দা জানিয়ে আসছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গ্রুপ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্যানুযায়ী, কোনো হুমকির আশঙ্কা ছাড়াই হামলার সন্দেহকারী মনে করে ফিলিস্তিনের হত্যা করতে ইসরায়েলি সেনা ও পুলিশকে উ’সাহ দেয় দেশটির জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদরা।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার অফিস জানায়, আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন করে প্রতিরোধ ব্যবস্থার নামে কিংবা সামান্য সন্দেহে প্রায় সময় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলি সেনারা।